সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ক মেরামতির চেষ্টায় চাকরি যেতে পারে পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশির। তাঁর জায়গায় দায়িত্বে আসতে পারেন মানবাধিকার মন্ত্রী শিরীন মাজারি। এমনই গুজব উড়ছে ইসলামাবাদের আকাশে।
গত সপ্তাহে কাশ্মীর ইস্যুতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত উদাসীনতার অভিযোগ তুলে সৌদি মদতপুষ্ট অর্গানাইজেশন অফ ইসলামিক কনফারেন্স-এর (ওআইসি) কড়া সমালোচনা করেন পাক বিদেশমন্ত্রী। কুরেশির উটকো মন্তব্যের সুবাদেই সৌদি আরবের রোষের মুখে পড়ে পাকিস্তান। তার জেরে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হওয়ায় আর্থিক ঋণ, কম দামে জ্বালানির মতো একাধিক সুবিধা থেকে ইমরান খান সরকারকে বঞ্চিত করেছে রিয়াধ।
সৌদির মন গলাতে রবিবার পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফইজকে নিয়ে রিয়াধ উড়ে গিয়েছেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল কমর বাজওয়া।
পাশাপাশি, কাশ্মীরের বাসিন্দা এবং পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মানহানির জন্য প্রকাশ্যে বিদেশ মন্ত্রকের কাঁধে দোষ চাপিয়েছেন মানবাধিকার মন্ত্রী শিরীন মাজারি। এর থেকেই স্পষ্ট যে, বিদেশ মন্ত্রকের সঙ্গে দূরত্ব রাখতে চাইছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। আবার সেই বার্তা ঘোষণার জন্য মাজারিকে বেছে নেওয়ার কারণেই বিদেশমন্ত্রকে কপরেশির পরিবর্তে তাঁকেই দায়িত্বে আনার ইঙ্গিত মিলেছে বলে মনে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
গত শনিবার ইমরান খান মন্ত্রিসভার বর্ষীয়ান সদস্য শেখ রাশিদ টেলিভিশন বিবৃতিতে দাবি করেছেন যে, সৌদি আরবের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্কে ইতিমধ্যেই মেরামতি প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। পাক সেনাপ্রধানের সফরে তা মজবুত পাবে বলেও তিনি জানান। উল্লেখ্য, সৌদি আরব নেতৃত্বের সঙ্গে বরাবরই সুসম্পর্ক রয়েছে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কর্তাদের, এমনই দাবি বিশেষজ্ঞদের।
কাশ্মী ইস্যু নিয়ে বিদেশ মন্ত্রকের পদক্ষেপের কড়া সমালোচনা করে মাজারি বলেছেন, বিদেশমন্ত্রীর সাম্প্রতিক আচরণে ঘরে-বাইরে বিরূপ ধারণা তৈরি হয়েছে। অনেকেরই মনে হচ্ছে যে, কাশ্মীর নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও বিদেশমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশির মধ্যে মতান্তর রয়েছে বলে দুজনেই নিজস্ব মত অবলম্বন করছেন। তাঁর দাবি, সম্পূর্ণ একক চেষ্টায় বিশ্ব দরবারে কাশ্মীর সমস্যা পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছেন ইমরান। তাঁর অভিযোগ, ‘বিদেশমন্ত্রক যদি প্রধানমন্ত্রীর দেখানো পথে অনুসরণ করত, তাহলে আজ এই পরিস্থিতি তৈরি হত না।’