পাকিস্তানের মাটিতে পা রেখে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পর, সেখানে বালাকোটের সন্ত্রাসীঘাঁটি এয়ার স্ট্রাইকে উড়িয়ে দিয়েছিল ভারত। ভারতের বুকে পর পর পাকিস্তানি মদতপুষ্ট সন্ত্রাসী হামলার জবাবে দিল্লি এমন পদক্ষেপ করেছিল। ২০১৯ সালে ভারতের এয়ারস্ট্রাইকের পরই সেই বছর ২৭ ফেব্রুয়ারি কাশ্মীরের আকাশে অবৈধভাবে প্রবেশ করে পাকিস্তানি যুদ্ধবিমান। ২০২২ সালে পাকিস্তানের বিমানের সেই অবৈধ অনুপ্রবেশের কথা স্মরণ করিয়ে এদিন টুইট করেন ইমরান খান।
ইমরান নিজের টুইটে লেখেন, ' আমি চিরকালই বিশ্বাস করি আলোচনা ও কূটনীতির মাধ্যমে সমস্যার সমাধানের। তবে সেটিকে দুর্বলতা হিসাবে নেওয়াটা ঠিক নয়। যা আমরা ২০১৯ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি দেখিয়েছিলাম ভারতকে। যখন তারা আমাদের আক্রমণ করে। জাতীর সশস্ত্রবাহিনী সেই আগ্রাসনকে সর্বস্তরে জবাব দিয়েছিল।' উল্লেখ্য, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ সালে পাকিস্তান এফ ১৬ যুদ্ধবিমান নিয়ে অবৈধভাবে ভারতের আকাশে প্রবেশ করে। যাকে পাল্টা ধাওয়া করে ভারতের মিগ বাইসন যুদ্ধবিমান। বিমানে ছিলেন উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমান। তবে দিকভ্রষ্ট হয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে তাঁর যুদ্ধবিমান অবতরণ হয় পাকিস্তানে।
এরপরই অভিনন্দনকে আটক করে পাকিস্তান। দুই দেশের মধ্যে চলে চরম কূটনৈতিক আলোচনা। শেষে ভারতের চাপের মুখে ভারতের বীর যোদ্ধাকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় পাকিস্তান। উল্লেখ্য, এর আগে ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ সালে বালাকোটে জঙ্গিদের উপর হামলা চালায় ভারত। মোবাইল সিগন্যাল থেকে ধারণা করা হয়েছিল যে ৩০০ জন জঙ্গিকে বালাকোটের জঙ্গি শিবিরে হত্যা করা হয়েছিল। এর আগে, ২০১৯ সালে পুলওয়ামায় ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ানকে হত্যা করে পাকিস্তানি জঙ্গি শিবির। ঘটনায় পাকিস্তানের হাত থাকার প্রমাণ মেলে। সেই প্রমাণ পেশ করা হলেও, তা মানতে চায়নি পাকিস্তান। এরপরই এয়ার স্ট্রাইকের রাস্তা নেয় দিল্লি।