পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান জানিয়েছিলেন, তালিবানের দখলে থাকা আফগানিস্তানকে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রণ করে না। ইসলামবাদ সুন্নি পুস্তুন ইসলামিস্ট ফোর্সের মুখপাত্রও নয়। তবে এসব যে শুধুই কথার কথা তা প্রমাণিত হল আরও একবার। বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী মাকদুম শাহ মেহেমুদ কুরেশি নামলেন কাবুলে। তার সঙ্গে লেফেটেনান্ট জেনারেল ফিয়াজ আহমেদেও ছিলেন। তিনি আবার আইএসআইয়ের ডিজি। আর তাদের সাদরে অভ্যর্থনা জানালেন তালিবান বিদেশ মন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি। তবে ওয়াকিবহাল মহলের মতে , আসলে কট্টরপন্থী সুন্নীদের বোঝাতে কাবুল গিয়েছেন কুরেশি ও হামিদ। আন্তর্জাতিক দুনিয়াকে দেখানোর জন্য সরকারে অভ্যন্তরে যাতে বেশি করে মহিলা প্রতিনিধিত্ব নেওয়া হয় সেসব কথাই বোঝাতে কাবুল পাড়ি দিয়েছেন দুই পাক হেভিওয়েট। কারণ আন্তর্জাতিক দুনিয়া ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে UNSC'র শর্ত মানতে হবে তালিবানকে। আর সেটাই পাখি পড়া করে তালিবান সরকারকে বোঝাতে চাইছে দুই পাক কর্ণধার।
এদিকে তালিবান মন্ত্রিসভার অন্দরেও নানা দ্বন্দ্ব মাথাচাড়া দিয়েছে। যেমন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোল্লা ইয়াকুবের সঙ্গে আভ্যন্তরীন বিষয়ক মন্ত্রী সিরাজুদ্দিন হক্কানির দ্বন্দ্ব। এর সঙ্গেই সরকার পরিচালনার ক্ষেত্রে তালিবানের অন্দরে নানা বিরোধ মাথাচাড়া দিচ্ছে। সম্প্রতি তালিবানের তরফে নির্দেশ জারি করা হয়েছিল যে সংস্কৃতি মন্ত্রকে মহিলারা কাজ করতে পারবেন। তবে নিরাপত্তারক্ষীরা তাদের আটকে দেন। তাদের দাবি এটা ইসলামের বিরোধী হয়ে যাচ্ছে। তবে কী এইসব বিরোধ মেটাতেও হস্তক্ষেপ করবেন পাক প্রতিনিধিরা?