ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে পাকিস্তানে স্বাগত জানালেন পাক প্রধানমন্ত্রী। হ্যান্ডশেক করলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। ইসলামাবাদে এসসিও মিটিংয়ে পাক প্রধানমন্ত্রী ভারতের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে করমর্দন করেন। পাক মিডিয়াতে সেই ছবি সামনে এসেছে।
সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) সম্মেলনে যোগ দিতে মঙ্গলবার ইসলামাবাদে পৌঁছেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
সেখানে পৌঁছানোর পর জয়শঙ্করকে নূর খান বিমানঘাঁটিতে স্বাগত জানান পাকিস্তানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
দুই প্রতিবেশীর মধ্যে সম্পর্কের অব্যাহত টানাপোড়েনের মধ্যে প্রায় নয় বছরের মধ্যে কোনও সিনিয়র ভারতীয় মন্ত্রীর এটি প্রথম পাকিস্তান সফর।
২০১৫ সালে সুষমা স্বরাজ শেষবার পাকিস্তান সফর করেছিলেন। আফগানিস্তান বিষয়ক একটি সম্মেলনে যোগ দিতে ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে ইসলামাবাদ গিয়েছিলেন তিনি।
আগামী ১৫ ও ১৬ অক্টোবর পাকিস্তান এসসিও কাউন্সিল অব হেডস অব গভর্নমেন্ট (সিএইচজি) শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করছে। দু'দিনের এই বৈঠকে অর্থনীতি, বাণিজ্য, পরিবেশ ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংযোগের ক্ষেত্রে চলমান সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হবে এবং এসসিও'র কার্যকারিতা পর্যালোচনা করা হবে।
২০২৩ সালের অক্টোবরে বিশকেকে অনুষ্ঠিত পূর্ববর্তী বৈঠকে পাকিস্তান ২০২৩-২৪ সালের জন্য এসসিও-র দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ফোরাম এসসিও সিএইচজির রোটেটিং চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করেছিল।
এসসিও সদস্য দেশগুলির প্রতিনিধিদের স্বাগত জানাতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের দেওয়া ভোজসভায় যোগ দিতে পারেন এস জয়শঙ্কর।
উভয় পক্ষই ইতিমধ্যে এসসিও সরকার প্রধানদের শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে এস জয়শঙ্কর এবং তার পাক প্রতিপক্ষ ইসহাক দারের মধ্যে কোনও দ্বিপাক্ষিক আলোচনার সম্ভাবনা অস্বীকার করেছে।
জয়শঙ্কর বলেছেন, যে কোনও প্রতিবেশীর মতোই পাকিস্তানের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে চাইবে ভারত।
কিন্তু সীমান্তপারের সন্ত্রাসকে উপেক্ষা করে এবং ইচ্ছাপূরণের চিন্তায় লিপ্ত হয়ে তা সম্ভব নয়।
ইসলামাবাদে এসসিও-র ২৩তম শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে আগত অতিথিদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পাকিস্তান সেনা রেঞ্জার্স মোতায়েন করেছে।
রাজধানী জুড়ে রেঞ্জার্স মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদসংস্থা এএনআই। ইসলামাবাদ ও রাওয়ালপিন্ডিতে নিরাপত্তা ঝুঁকি কমাতে বেশ কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে এবং গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
পাকিস্তান সরকার প্রায় ৯০০ প্রতিনিধির নিরাপত্তার জন্য ১০,০০০ এরও বেশি পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করেছে।
(পিটিআই, এএনআই থেকে ইনপুট)