সন্ত্রাস বিরোধী অভিযানে বড়সড় সাফল্য পেল পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী। খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে তিনটি পৃথক অভিযানে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত হল ৩০ জন জঙ্গি। এছাড়াও, বেশ কয়েকজন জঙ্গি আহত হয়েছে। জানা গিয়েছে, নিহতদের মধ্যে একজন জঙ্গি নেতা রয়েছেন। এছাড়াও তাদের কাছ থেকে প্রচুর পরিমাণে অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে পাক নিরাপত্তা বাহিনী।
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ফের জঙ্গি নিশানায় পাকিস্তান! আত্মঘাতী হামলায় নিহত ১২ সেনা
সেনাবাহিনীর মিডিয়া বিভাগ ইন্টার-সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশন্স (আইএসপিআর) জানিয়েছে, বাহিনী লাক্কি মারওয়াত জেলায় শুক্রবার এবং শনিবার একটি গোয়েন্দা ভিত্তিক অভিযান চালায়। সেখানে ১৮ জন জঙ্গিকে নির্মূল করা সম্ভব হয়েছে। এছাড়াও, আহত হয়েছে ৬ জঙ্গি। গোয়েন্দা তথ্যের উপর ভিত্তি করে পাক নিরাপত্তা বাহিনী আরেকটি অভিযান চালায় কারাক জেলায়। সেখানে দু পক্ষের গুলি বিনিময়ের সময় আট জঙ্গি নিহত হয়েছে।
তৃতীয় সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে খাইবার জেলার বাগ এলাকায়। সেখানে বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছে খারজি নেতা আজিজ উর রহমান ক্বারি ইসমাইল এবং খারজি মুখলিস সহ চার জঙ্গি। পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে ঘটনায় আরও ২ জঙ্গি নিহত হয়েছে।বাহিনী নিহত জঙ্গিদের কাছ থেকে প্রচুর পরিমাণে অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে। জানা যায়, এই জঙ্গিরা আগে এই অঞ্চলে অনেক নিরাপত্তা কর্মী ও সাধারণ নাগরিকদের ওপর হামলা চালিয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে ১২ জানুয়ারি নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে উত্তর ওয়াজিরিস্তান জেলায় দুটি পৃথক অভিযানে নিহত হয়েছিল ৯ জঙ্গি। দোসাল্লিতে নিরাপত্তা বাহিনী গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়েছিল। সেই সময় ৬ জঙ্গি নিহত হয়েছিল। এছাড়াও দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, উত্তর ওয়াজিরিস্তান জেলার ইশাম এলাকায় পরবর্তী অভিযানের সময় তিন জঙ্গিকে নিষ্ক্রিয় করা সম্ভব হয়েছে এবং অন্য দুজন আহত হয়েছে। গত ১১ জানুয়ারি নিরাপত্তা বাহিনী মাদ্দি ডেরা ইসমাইল খান এলাকায় একটি অভিযানের সময় নেতা শফিউল্লাহ শফি সহ পাঁচ জঙ্গিকে নির্মূল করেছিল।ইন্টার সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশনস একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, অভিযানের সময় সেনারা খুবই সতর্ক ছিলেন। এটাকে একটি বড়সড় সাফল্য বলেই মনে করছে পাক সেনা।