আগামী ১১ মে জম্মু ও কাশ্মীরে একাধিক সন্ত্রাসবাদী হামলা চালানোর জইশ-ই-মহম্মদের চক্রান্ত ফাঁস করল নিরাপত্তা বাহিনী।
শনিবার হিন্দুস্তচান টাইমস-কে দিল্লিতে সন্ত্রাস দমন বিভাগের এক শীর্ষ কর্তা জানিয়েছেন, ‘খবর পাওয়া গিয়েছে, এই হামলাগুলির মধ্যে থাকতে পারে আত্মঘাতী হানা এবং সেনা ও আধাসামরিক বাহিনীর ঘাঁটিতে নাশকতামূলক অভিযান।’
উল্লেখ্য এপ্রিল মাসে জম্মু ও কাশ্মীরে মোট ২৮ জন সন্ত্রাসবাদীকে খতম করতে সফল হয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। এর জেরে ইসলামাবাদ থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে পাক প্রশাসন অভিযোগ করে, কাশ্মীরে ২৯ জন নিরপরাধীকে হত্যা করা হয়েছে।
সেনা সূত্রে খবর, জইশ-ই-মহম্মদ প্রধান মৌলানা মাসুদ আজহার মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়ায় গত কয়েক মাস যাবৎ সংগঠনের হাল ধরেছেন তাঁর ভাই মুফতি আবদুল রউফ আসগর। কাশ্মীরে ১১ মে পরিকল্পিত নাশকতার ছক তাঁরই মস্তিষ্কপ্রসূত।
গোয়েন্দাদের দাবি, রমজানের ১৭ তম দিবসের সঙ্গে সাদৃশ্য টানার চেষ্টাতেই ওই দিন হামলার পরিকল্পনা করা হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, সীমান্তে কড়াকড়ি থাকা সত্ত্বেও পাকিস্তান থেকে গত একমাসে ২৫-৩০ জন সন্ত্রাসবাদী জম্মু ও কাষশ্মীরে প্রবেশ করতচে সক্ষম হয়েছে। এ ছাড়া, গত একসপ্তাহে আরও ৭০ জন জইশ জঙ্গি সীমান্ত পেরোনোর চেষ্টায় রয়েছে।
লকডাউন থাকার কারণে পাক সেনাবাহিনীর প্রত্যক্ষ মদত ছাড়া ভারতে প্রবেশ করা সম্ভব ছিল না সন্ত্রাসবাদীদের, দাবি সেনা গোয়েন্দা বিভাগের। সন্ত্রাস হানার আগাম খবর পাওয়ার পরে জম্মু ও কাশ্মীরজুড়ে আরও কঠোর করা হয়েছে নিরাপত্তা বলয়।