গতমাসে ভারতে অনুপ্রবেশ করতে গিয়ে ধরা পড়েছিল এক পাকিস্তানি জঙ্গি। কাশ্মীরের রাজৌরিতে ঘটেছিল সেই ঘটনা। সেনার গুলিতে জখম হয়েছিল সেই জঙ্গি। পরে চিকিৎসার জন্য তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। এই আবহে গতকাল চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেই জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, মৃত জঙ্গির নাম তবারক হুসেন।
জেরার মুখে জঙ্গি জানিয়েছিল, তাকে আত্মঘাতী হামলার জন্য ভারতে পাঠানো হয়েছিল। অনুপ্রবেশের সময় তার কাঁধে এবং পায়ে গুলি লেগেছিল। গত ২১ অগস্ট ঘটনাটি ঘটেছিল। শনিবার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সেই জঙ্গি মারা যায়। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে এক সেনা আধিকারিক বলেছেন, ‘পাক অধিকৃত কাশ্মীর থেকে ভারতে এসেছিল ফিদায়েঁ আত্মঘাতী হামলাকারী তবারক হুসেন। ২১ অগস্ট রাজৌরির নৌশেরাতে নিয়ন্ত্রণ রেখা পার করে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছিল সে। সেই সময় সেনাবাহিনীর হাতে ধরা পড়ে তবারক। আজ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছে সে। সে রাজৌরির সেনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল। তার পায়ে ও কাঁধে গুলি লেগেছিল।’ এদিকে এই জঙ্গিকেই তিন বোতল রক্ত দিয়ে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন ভারতীয় সেনা জওয়ানরা। অস্ত্রপচারও হয়েছিল তার।
প্রসঙ্গত, গত ২১ অগস্ট নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর কয়েকজন জঙ্গিকে দেখতে পান নৌসেরার ঝাঙ্গার সেক্টরে টহলরত ভারতীয় জওয়ানরা। এক জঙ্গি ভারতীয় চৌকির কাছে চলে আসে এবং সীমান্তের বেড়াতার কেটে দেওয়ার চেষ্টা করে। সেইসময় জঙ্গিদের লক্ষ্য করে গুলি চালান ভারতীয় সেনার জওয়ানরা। ওই জঙ্গি পালানোর চেষ্টা করলেও কোনও লাভ হয়নি। জওয়ানদের গুলিতে আহত হয় ওই জঙ্গি। তবে তার পিছনে যে দুই জঙ্গি ছিল, তারা পালাতে সক্ষম হয়। পরে জেরা করে তবরাকের থেকে জানা যায়, ভারতীয় পোস্টে হামলার জন্য পাকিস্তানি মুদ্রায় ৩০,০০০ টাকা দেওয়া হয়েছিল তাকে।
উল্লেখ্য, ওই জঙ্গিকে অনুপ্রবেশের সময় ২০১৬ সালের এপ্রিলে পাকড়াও করেছিল ভারতীয় সেনা। তার ভাই হারুন আলিকেও ধরা হয়েছিল। তবে মানবিকতার খাতিরে ২০১৭ সালের নভেম্বরে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। তারপর ফের ভারতীয় সেনার উপর হামলা চালানোর চেষ্টা করে ওই জঙ্গি। তবে এবারও তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিল ভারতীয় সেনা। তবে শেষরক্ষা হল না।