২০০৮ সালে পাকিস্তানেই নিষিদ্ধ করা হয়েছিল জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-ইসলামকে। সেই জঙ্গি সংগঠনেরই প্রতিষ্ঠাতা মুফতি মুনির শাকির বিস্ফোরণে প্রাণ হারাল বলে দাবি করা হল পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের রিপোর্টে। পেশোয়ারে গত ১৫ মার্চ এই বিস্ফোরণটি ঘটেছিল। গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভরতি ছিল এই জঙ্গি নেতা। এরপর ১৭ মার্চ শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করে সে। এদিকে নিষিদ্ধ সংগঠন হলে কি হবে, লস্কর-ই-ইসলামের প্রতিষ্ঠাতার মৃত্যুতে শোক জ্ঞাপন করেছেন খাইবার পাখতুনখোয়ার মুখ্যমন্ত্রীর স্বাস্থ্য বিষয়ক উপদেষ্টা এহতেশাম আলি। এদিকে বিস্ফোরণের নিন্দা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী আল আমিন গান্দাপুর। সেই সময় জখম মুফতির সেরা চিকিৎসার নির্দেশও দিয়েছিলেন তিনি। (আরও পড়ুন: গুলি মেরে চলে গেল! পাকিস্তানে এবার বিমানবন্দরে রহস্যজনক ভাবে খুন ইসলামি প্রচারক)
আরও পড়ুন: ভারত-চিন সম্পর্কের বাস্তবতা তুলে ধরলেন মোদী, ভারতীয় PM-এর 'প্রশংসায়' বেজিং
এদিকে এর আগে ১৫ মার্চ পাক পঞ্জাবের দিনা এলাকায় গুলি করে হত্যা করা হয় হফিজ সইদ ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত আবু কাতালকে। হাফিজের ভাইপো ছিল এই আবু কাতল। রিপোর্ট অনুযায়ী, সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঝিলাম জেলার দিনা এলাকায় নিরাপত্তারক্ষীর সঙ্গে যাওয়ার সময় অজ্ঞাত হামলাকারীদের গোলাগুলির মুখে পড়েন তারা। লস্কর-ই-তৈবার চিফ অপারেশনাল কমান্ডার পদে ছিল আবু কাতাল। সে জম্মু ও কাশ্মীরে হামলা চালানোর দায়িত্বে ছিল। এই আবু কাতাল - আলি, হাবিবুল্লাহ, নোমান এবং মহম্মদ কাসিম সহ আরও বেশ কয়েকটি ছদ্মনামে পরিচিত ছিল। সীমান্তের ওপার থেকে লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গিদের নিয়োগ ও মোতায়েনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল কাতাল। তাঁর মূল টার্গেটে ছিল কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও নিরাপত্তারক্ষীরা। (আরও পড়ুন: বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার নিয়ে উদ্বিগ্ন USA, বড় মন্তব্য তুলসির)
আরও পড়ুন: 'জঙ্গি' তকমা দেওয়া হোক পান্নুনের খলিস্তানি সংগঠনকে, তুলসির কাছে আবেদন রাজনাথের
জম্মু অঞ্চলে, বিশেষ করে রিয়াসি ও রাজৌরি জেলায় সাধারণ মানুষকে নিশানা করে মারাত্মক সব হামলার ছক কষেছিল সে। এর আগে ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি সন্ত্রাসীরা ডাংরি গ্রামে হামলা চালায়, গ্রামবাসীদের উপর গুলি চালায় এবং পাঁচজন নিরীহ নাগরিককে হত্যা করে। তারা পালানোর সময়, হামলাকারীরা একটি ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) রেখে যায়, যা পরের দিন সকালে দুই নাবালকের প্রাণ কেড়ে নিয়েছিল। এরপর ২০২৪ সালের ৯ জুন, জম্মু ও কাশ্মীরের রিয়াসি জেলায় তীর্থযাত্রী ভর্তি একটি বাস সন্ত্রাসীদের কবলে পড়েছিল। জঙ্গি হামলার মুখে সেই বাসটি খাদে পড়ে গেলে ৯ জন নিহত এবং ৪১ জন আহত হয়েছিল। লস্কর হামলার মুখে শিবখোড়ি গুহা মন্দিরের দিকে যাওয়ার সময়ই বাসটি রাস্তা থেকে ছিটকে পড়ে গিয়েছিল। গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ) আবু কাতাল-সহ আরও চারজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছিল এই মামলায়। অভিযুক্তদের মধ্যে লস্কর-ই-তৈয়বার তিন পাকিস্তানভিত্তিক হ্যান্ডলারও রয়েছে।