জইশ-ই মহম্মদ থেকে শুরু করে লস্কর-ই তৈবার মতো জঙ্গি সংগঠনের কাছে পাকিস্তান ‘স্বর্গ’। তবে এবার সেই পাকিস্তানই নাকি আফগান তালিবানের কাছে আবেদন জানাল যাতে জইশ প্রধান মাসুদ আজহারকে খুঁজে বের করে গ্রেফতার করা হয়। প্রসঙ্গত, এফএটিএফ-এর ‘গ্রে তালিকা’ থেকে বের হতে পাকিস্তানকে নিজেদের ‘জঙ্গি বিরোধী’ ভাবমূর্তি তৈরি করতে হবে। এদিকে পশ্চিমা দেশগুলি মাসুদকে নিয়ে ক্রমাগত চাপ বৃদ্ধি করছে পাকিস্তানের উপর। এই আবহে পাকিস্তান নাকি তালিবানের শরণাপন্ন হয়েছে।
উল্লেখ্য, এই পাক জঙ্গিকে ১৯৯৯ সালে ভারত মুক্তি দিতে বাধ্য হয়েছিল। কাঠমান্ডু থেকে একটি বিমান অপহরণ করে সেই সময় কান্দাহারে নিয়ে গিয়ে ভারত সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করেছিল জঙ্গিরা। তখন তালিবানও তাদের মদত দিয়েছিল। এহেন তালিবানকেই এবার মাসুদকে জেলবন্দি করতে বলল পাকিস্তান। ইসলামাবাদের তরফে এই সংক্রান্ত একটি চিঠি লেখা হয় তালিবানের বিদেশ মন্ত্রকের কাছে।
পাক সংবাদমাধ্যম ‘জিও নিউজে’র রিপোর্ট অনুযায়ী, পাক সরকার বিশ্বাস করে, মাসুদ এই মুহূর্তে আফগানিস্তানের কোথাও লুকিয়ে আছে। দাবি করা হচ্ছে আফাগনিস্তানের নানগড়হর বা কুনার প্রদেশে লুকিয়ে থাকতে পারে আজহার। এদিকে এই গোটা বিষয় নিয়ে পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি। এদিকে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকও এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি।
এর আগে চললি বছরের শুরুতে যখন ফিন্যানশিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্সের বৈঠক হয়েছিল, সেই সময় ভারতের তরফে পাকিস্তানকে ৩০ জন জঙ্গির উপর কড়া ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছিল। ভারতের সেই দাবিকে সমর্থন জানিয়েছিল বহু পশ্চিমা দেশ। এই আবহে চাপের মুখে নিজেদের দেশের অর্থনীতিকে বাঁচাতে পাকিস্তানের কাছে আপাত দৃষ্টিতে আর কোনও পথ নেই। এদিকে মনে করা হচ্ছে, দীর্ঘদিন পর শেষ পর্যন্ত অক্টোবরে এফএটিএফ-এর বৈঠকে পাকিস্তানকে এফএটিএফ-এর গ্রে লিস্ট থেকে সরানো হতে পারে।