ভারতের সঙ্গে তালিবান সরকারের ক্রমবর্ধমান কূটনৈতিক সম্পর্কের আবহে তেলেবেগুনে জ্বলে উঠেছে পাকিস্তান। আর এরই মাঝে নিজেদের দেশে সন্ত্রাসী হামলার জন্য আফগানিস্তানের 'ভারতীয় প্রক্সিদের' দায়ী করল পাকিস্তান। ইসলামাবাদ অভিযোগ করেছে, নয়াদিল্লি আফগানিস্তানকে তার মাটিতে সন্ত্রাসবাদের অপারেশনের ঘাঁটি হিসাবে ব্যবহার করছে। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতরের (আইএসপিআর) মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী পেশোয়ারে এক সংবাদ সম্মেলনে খাইবার পাখতুনখোয়ায় নিরাপত্তা পরিস্থিতির বিষয় তুলে ধরেন এবং ভারতের দিকে আঙুল তোলেন।
এদিকে তালিবানের বিদেশমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি এখন ভারতে আছেন। প্রসঙ্গত, তালিবানরা কাবুলে ক্ষমতায় আসার পরে প্রথম উচ্চ পর্যায়ের সফরে দিল্লি এসেছেন মুত্তাকি। আর সেদিনই কাবুলে বিস্ফোরণ হয়। জানা যায়, গত ৯ অক্টোবর মধ্যরাতের দিকে কাবুলের পূর্বাঞ্চলে শক্তিশালী বিস্ফোরণ ঘটে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, আকাশে বিমানের আওয়াজ শোনা যায় এবং তার পরপরই বিস্ফোরণের আওয়াজ শোনা যায়। এরপর গুলির আওয়াজও শোনা যায়। আমু টিভি এবং অন্যান্য আফগান মিডিয়া সূত্রের মতে, টিটিপি নেতা নূর ওয়ালি মেহসুদ লুকিয়ে থাকা সন্দেহে একটি নির্দিষ্ট কম্পাউন্ড লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়েছিল। তবে পরে মেহসুদের একটি অডিয়ো বার্তা প্রকাশ করা হয় টিটিপির তরফ থেকে। দাবি করা হয়, তিনি বেঁচে আছেন।
এরই মাঝে পাকিস্তানি বাহিনীর তরফ থেকে দাবি করা হয়, সম্প্রতি ৩০ জঙ্গিকে হত্যা করেছে তারা। এদিকে এই সপ্তাহের শুরুতেই পাকিস্তানে সশস্ত্র বিদ্রোহীরা একটি নিরাপত্তা বহরে আক্রমণ করে ১১ জন সৈন্যকে মেরেছিল। এরপরই পাকিস্তানি সেনা অভিযান চালিয়েছিল। এরই মাঝে আবার শুক্রবার রাতে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর ডেরা ইসমাইল খানের একটি পুলিশ ঘাঁটিতে পাকিস্তানি তালিবানের একটি দল হামলা চালায় এবং একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। তাতে অন্তত ২ জন পাক জওয়ান মারা যান বলে জানা গিয়েছে। এর একদিন আগে পাকিস্তানের পার্লামেন্টে ভাষণ দেওয়ার সময় প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ আফগানিস্তানকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। খাজা আসিফ বলেছিলেন, 'যথেষ্ট হয়েছে, আমাদের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গিয়েছে। আফগানিস্তানের মাটি থেকে সন্ত্রাসবাদ অসহনীয়।'