বালুচিস্তানের লাসাবেলা এলাকায় পাকিস্তানের কোয়েট্টা কর্পসের লেফ্টনেন্ট কমান্ডার সরফরাজ আলি সহ ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায়। ঘটনার সঙ্গে বালুচিস্তানের বিদ্রোহীদের যোগ রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে হেলিকপ্টারে সওয়ার ৬ জনেরই মৃত্যু হয়েছে। এদিকে, প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে বালুচিস্তানের বিদ্রোহীরা ওই হেলিকপ্টারকে গুলি করে ধ্বংস করে। যে ঘটনার পাকিস্তানের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বড়সড় ত্রাস হয়ে উঠতে পারে।
সূত্রের দাবি, বালুচিস্তান লিবারেশন আর্মি, এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কোনও বক্তব্য জানায়নি। তবে সন্দেহ তারাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে। প্রশ্ন উঠতে পারে, কেন এই কোয়েট্টা কর্পসের লেফ্টনেন্ট কমান্ডার সরফরাজ আলিকেই নিশানা করল বালুচ বিদ্রোহীরা? যার উত্তরে মনে করা হচ্ছে, যেহেতু কোয়েট্টা কর্পস সীমান্ত এলাকার উগ্রপন্থা দমনে পাকিস্তানের সেনায় বড় ভূমিকা নিয়েছে, তাই সেই ক্ষোভ থেকে বালুচ বিদ্রোহীদের নিশানা হয়ে যায় কোয়েট্টা কর্পসের কমান্ডার। লেফ্টন্যান্ট জেনারেল শরফরাজ আলি ছাড়াও, ব্রিগেডিয়ার হানিফ, মেজর সইফ, মেজর তালহা, নায়েক মুদাসেরের মৃত্যু হয়। জানা গিয়েছে বালুচিস্তানের লাসাবেলা থেকে রওনা হওয়ার পরই কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে সংযোগ হারায় এই হেলিকপ্টার। জানা গিয়েছে পালুচিস্তানের দক্ষিণ পশ্চিম এলাকায় ওই ভেঙে পড়া হেলিকপ্টারের খোঁজে জোরদার তল্লাশি পর্ব শুরু হয়েছে। জওয়াহিরির মৃত্যুর পর আদেলই কি আল কায়দর প্রধানের গদিতে বসছে? কতটা ভয়ঙ্ক এই জঙ্গি!
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, যেভাবৈে পার্বত্য অঞ্চলে ঢাকা রয়েছে তাতে এই হেলিকপ্টারের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে বের করতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে প্রসাসনকে। এমনকি ওই হেলিকপ্টারে কেউ আহত অবস্থায় বেঁচে রয়েছেন কি নাও জানে না প্রশাসন। সোমবার রাতের এই দুর্ঘটনার পর থেকে জোরদার তল্লাশি চললেও তা কোনও মতেই খুঁজে বের করা যায়নি। বলা হচ্ছে, এইভাবে সেনা হেলিকপ্টার নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা পাকিস্তানের নিরাপত্তার জন্য বেশ ভয়ঙ্কর। ঘটনার পর থেকে প্রাক্তন পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান সহ অনেকেই নিজের শোকবার্তা জানিয়েছেন।