পাকিস্তানের লাহোরের বাতাসে বিষ। গত শনিবার লাহোরের এয়ার কোয়ালিটি ইন্ডেক্স নাকি নজিরবিহীন ভাবে ১৯০০-র গণ্ডি পার করেছিল। এই আবহে বাতাসে দূষণ কমাতে তৎপর হয়েছে পাক পঞ্জাবের প্রাদেশিক সরকার। এদিকে ৫০ শতাংশ লাহোরবাসীকে বাড়ি থেকে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পঞ্জাব প্রদেশের বিভিন্ন জায়গায় প্রাথমিক স্কুল ছুটি দেওয়া হয়েছে এক সপ্তাহের জন্যে। পরিস্থিতির বিষয়ে পঞ্জাবের মন্ত্রী মরিয়াম ঔরঙ্গজেব বলেন, 'লাহোরের আকাশ ঘন কুয়াশায় ঢেকে গিয়েছে।' সুইস গ্রুপ আইকিউএয়ারের তথ্য প্রকাশ করে পাক পঞ্জাব সরকার দাবি করে, ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের কাছে দূষণের মাত্রা সর্বোচ্চ। (আরও পড়ুন: 'তলে তলে চুক্তি... হাসিনাকে আশ্রয় কেন?', অনুপ্রবেশ ইস্যুতে শাহকে তোপ হেমন্তের)
আরও পড়ুন: 'সেনা প্রত্যাহার তো একটা অংশ মাত্র...', ভারত-চিন সম্পর্ক নিয়ে বড় আপডেট জয়শংকরের
আরও পড়ুন: 'লাল রেখা পার...', কানাডার মন্দিরে খলিস্তানি হামলায় সরব ট্রুডোর দলেরই সাংসদ
এদিকে এই অত্যধিক দূষণের আবহে পাক পঞ্জাব সরকার লাহোবাসীদের নির্দেশ দিয়েছে, ঘরের মধ্যে জানলা-দরজা বন্ধ করতে থাকতে। প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বেরোতে বারণ করা হয়েছে। এদিকে বহু জায়গায় নির্মাণকাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এদিকে তিনচাকার অটোরিকশা চলাচলের ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এদিকে যে সব কারখানা নিয়ম মানবে না, সেগুলিকে বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। (আরও পড়ুন: UP-তে মহিলাকে যৌনাঙ্গ দেখিয়ে বিপাকে কংগ্রেস নেতা! কী বলছে জোটসঙ্গী SP?)
আরও পড়ুন: কানাডার মন্দিরে খলিস্তানিদের হামলার নিন্দায় ভারত, তুলে ধরল ট্রুডোর ব্যর্থতা
আরও পড়ুন: মাদ্রাসে দাদুর থেকে গণতন্ত্রের জন্যে লড়াইয়ের গুরুত্ব শিখেছি: কমলা হ্যারিস
এই সবের মাঝে পাকিস্তানে এই দূষণের জন্যে ভারতকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন পাক পঞ্জাবের মন্ত্রী মরিয়াম ঔরঙ্গজেব। এই নিয়ে তিনি বলেন, 'এই পরিস্থিতি অবিশ্বাস্য। বাতাসে বেড়ে চলা এই দূষণের মাত্রার কারণ প্রতিবেশী ভারত। বাতাসে সেখান থেকে ধুলিকণা পাকিস্তানে চলে আসছে। ভারতের সঙ্গে আলোচনা না করে এই পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাবে না।' এই আবহে পাক বিদেশ মন্ত্রকের মাধ্যমে ভারতের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হবে বলে জানান মরিয়াম। (আরও পড়ুন: কানাডার মন্দিরে 'ভারত বিরোধীদের' হামলা, খলিস্তানিদের কী বললেন ট্রুডো?)
এদিকে দিওয়ালি পরবর্তী দিল্লির বায়ুর গুণমান সূচক আগেরবারের তুলনায় ভালো ছিল। উল্লেখ্য, বিগত কয়েক বছরে দেখা গিয়েছে, দিওয়ালির পরই সাধারণত দিল্লির বায়ু দূষণ বেড়ে গিয়েছে। এর জেরে ভারতের রাজধানীর বাতাসের গুণমানের স্তর নেমে যেত 'গুরতর'-তে। তবে এবার দিওয়ালির পরে সেই গুণমান ছিল 'খুব খারাপ'। রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৫ সালের পর ২০২৪ সালে এসে দিওয়ালি পরবর্তী দিল্লি শহর 'দ্বিতীয় বিশুদ্ধতম' বায়ু পেল। তথ্য বলছে, বাতাসের কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সময়ে যার গতি ছিল ঘণ্টায় ১৬ কিলোমিটার।