সন্ত্রাসবাদীদের আর্থিক সাহায্য করার অপরাধে মুম্বই হামলার মাস্টারমাইন্ড হাফিজ সইদকে ১১ বছরের কারাদণ্ড শোনাল পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদ বিরোধী আদালত। সন্ত্রাসবাদীদের আর্থিক মদতের ২টি মামলা ছিল কুখ্যাত এই জঙ্গির বিরুদ্ধে। প্রতিটি মামলায় সাড়ে ৫ বছর করে সাজা শোনান বিচারক। দুটি সাজাই একসঙ্গে চলবে বলে জানা গিয়েছে।
গত বছর ১৭ জুলাই জামাত উদ দাওয়ার প্রধান হাফিজ সইদকে গ্রেফতার করে পাকিস্তান প্রশাসন। এর পর তাকে পাঠানো হয় লাহৌরের কোট লাকপত জেলে। সেখানে কড়া নিরাপত্তায় বর্তমানে রয়েছেন তিনি। ২টি মামলায় সাড়ে পাঁচ বছর করে সাজা হয়েছে তাঁর। সঙ্গে তার ১৫,০০০ পাকিস্তানি রুপিয়া জরিমানা করেছে আদালত।
লাহৌর ও গুজরনওয়ালা শহরে ২টি আলাদা মামলায় হাফিজ সইদের সাজা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলা দু’টি দায়ের করেছিল পাক পঞ্জাব প্রদেশের পুলিশ। সেই মামলাতে সাড়ে ৫ বছর করে হাফিজ সইদকে ১১ বছরের কারাদণ্ডের সাজা শোনান সন্ত্রাসবাদ বিরোধী আদালতের বিচারক আরশাদ হাসিন ভুট্টো।
শুধুমাত্র পঞ্জাব প্রদেশের সইদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসে অর্থ যোগানোর ২৩টি মামলা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সব ক্ষেত্রেই নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছে সইদ।
সন্ত্রাসবাদীদের অর্থ যোগানোর দায়ে পাকিস্তানেই হাফিজ সইদের সাজা হওয়ায় আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভারতের সুবিধা হল বলে মনে করছেন কূটনীতিকরা। কারণ দীর্ঘদিন ধরেই হাফিজ সইদ, দাউদ ইব্রাহিমের মতো সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে ভারতে জঙ্গি কার্যকলাপে টাকার যোগান দেওয়ার অভিযোগ করছে ভারত। হাফিজ সইদের সাজা আন্তর্জাতিক মহলে তোলা ভারতের সেই অভিযোগেই শিলমোহর বলে মনে করছেন তাঁরা।