বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > Pakistan Crisis: ইমরানের বাউন্সারে বল গড়াল পাক সুপ্রিম কোর্টে,পাকিস্তানের রাশ কি ফের সেনার হাতে?

Pakistan Crisis: ইমরানের বাউন্সারে বল গড়াল পাক সুপ্রিম কোর্টে,পাকিস্তানের রাশ কি ফের সেনার হাতে?

পাকিস্তানের রাশ এখন কার হাতে, এই প্রশ্নের জবাব খুঁজছেন অনেকেই (AFP)

ইমরান খানের বাউন্সার কি ‘নো-বল’, সেই সিদ্ধান্ত নেবে পাক সুপ্রিম কোর্ট।

আস্থা ভোটের মুখোমুখি হলে হার নিশ্চিত ছিল। এই আবহে ইমরান খানের বাউন্সারে পুরো পরিস্থিতি পাল্টে গেল পাকিস্তানে। রবিবার ভারতীয় সময় দুপুর ১২টা আচমকাই পাক ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির ডেপুটি স্পিকার কাসিম সুরি জানিয়ে দেন যে ‘দেশের স্বার্থে’ ইমরান খানের সরকারের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ করা হচ্ছে। আর এরপর থেকেই একের পর এক নাটকীয় ঘটনার সাক্ষী থেকেছে পাকিস্তান। একজিকে যেখানে ১৯২ জন বিরোধী সদস্য অ্যাসেম্বলিতে বলেই শাহবাজ শরিফকে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, সেখানে পাক রাষ্ট্রপতি অ্যাসেম্বলি ভেঙে দিয়েছেন। আবার রাতে পাক ক্যাবিনেট সচিব একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দেন ইমরান খান এখনও আর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নেই। এই আবহে সবার মনেই প্রশ্ন জাগে, তাহলে দেশটা চালাচ্ছে কে? এরই মাঝে ফের উঁকি দিতে শুরু করে পাকিস্তানের গদিতে সেনার ফেরার সম্ভাবনা। উল্লেখ্য, এই দেশ প্রায় তিন দশক সামরিক শাসনে ছিল। এই আবহে আজকে পাক সুপ্রিম কোর্ট এই সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।

বিরোধীদের দাবি, অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ করার বিষয়টি অসাংবিধানিক। এই আবহে আজকে সুপ্রিম কোর্ট সিদ্ধান্ত নেবে যে ইমরানের ইচ্ছে মতো আগামী ৯০ দিনে পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন অনু্ষ্ঠিত হবে কি না। প্রসঙ্গত, গতকালই ইমরান খান জাতির উদ্দেশে ভাষণ নিয়ে নয়া নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেন। এরই মাঝে পাক রাষ্ট্রপতি সংসদ ভেঙে দেন। পাক সংবিধান অনুযায়ী, এই ক্ষেত্রে সরকার চালায় অন্তরবর্তীকালীন সরকার। যদিও কোনও অন্তরবর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করেননি রাষ্ট্রপতি। এই কারণে ধোঁয়াশা রয়ে গিয়েছে যে পাকিস্তানের রাশ আদতে এখন কার হাতে। অপরদিকে পাক সেনার তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে ইসলামাবাদের ঘটনা প্রবাহের সঙ্গে তাদের কোনও যোগ নেই।

এই সব নাটকীয় মোড়ের মাঝেই গতকাল ইমরান খান সরাসরি মার্কিন অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অফ স্টেট ডোনাল্ড লু-এর বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তোলেন। ইমরানের অভিযোগ, পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূতকে নাকি ডোনাল্ড বলেছিলেন যে ইমরান যদি আস্থা ভোটে জিতে যান তাহলে তার ‘পরিনাম ভুগতে হবে পাকিস্তানকে।’ উল্লেখ্য, এর আগেও একাধিকবার নাম না করে অনাস্থা ভোটের ‘ষড়যন্ত্রের’ জন্য আমেরিকাকে দায়ী করেছিলেন। একবার তো মুখ ফসকে নিয়েও নিয়েছিলেন আমেরিকার নাম। তবে এই প্রথম তিনি সরাসরি কাউকে দায়ী করলেন এই পরিস্থিতির জন্য। এদিকে আস্থা ভোটের আগে ইমরান দাবি করেছিলেন, ‘সেনা আমাকে তিনটি বিকল্প দিয়েছে – পদত্যাগ, আস্থা ভোট, আগাম ভোট। আমি আগাম ভোট বেছে নিচ্ছি।’ ইমরানের এই মন্তব্য থেকে দূরত্ব বাড়িয়ে সেনার তরফে অবশ্য জানানো হয়েছিল, এরম কোও বিকল্প ইমরানকে দেওয়া হয়নি। তবে পাকিস্তানের সাম্প্রতিক ঘটনা প্রবাহ দেখে অনেকেরই মনে প্রশ্ন জেগেছে, আদতে দেশের রাশ কার হাতে?

বন্ধ করুন