নিজের কুর্সি বাঁচাতে ভারতের প্রশংসা করলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। বললেন, ভারতের বিদেশনীতি সবসময় স্বাধীন থেকেছে। সেজন্য একদিকে আমেরিকার সঙ্গে কোয়াডে আছে, আবার অন্যদিকে রাশিয়ার থেকে তেল আমদানি করছে।
রবিবার খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের মলকনাদ জেলায় ভারতের বিদেশ নীতির প্রশংসা করেন ইমরান। তিনি বলেন, 'আমরা একটি স্বাধীন দেশ চাই। আমার দেশের বিদেশ নীতি আমার দেশের লোকেদের কল্যাণের জন্য হবে। আজ আমাদের প্রতিবেশি দেশ ভারতের প্রশংসা করছি। ওদের বিদেশনীতি সবসময় স্বাধীন থেকেছে। আজ ওদের সঙ্গে (আমেরিকা) জোটে আছে। কোয়াডের মধ্যে আমেরিকা জোটসঙ্গী হয়ে আছে। নিজেদের নিরপেক্ষ বলে থাকে। নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও রাশিয়ার থেকে তেল আমদানি করছে। কারণ নিজেদের নাগরিকদের কল্যাণের জন্য তৈরি হয়েছে ভারতের নীতি।'
তারইমধ্যে নিজেকে ‘নয়া পাকিস্তানের’ ধারক-বাহক হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করেন ইমরান। তাঁর আমলে পাকিস্তান কখনও বিদেশি শক্তির কাছে মাথা নত করেননি বলেও দাবি করেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। দাবি করেন, অতীতে আমেরিকার সঙ্গে মাথা নত করে নিত ইসলামাবাদ। বিদেশি শক্তির মুখের উপর কিছু বলতে পারত না পাকিস্তান।
ইমরান দাবি করেন, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সদস্য দেশ-সহ ২২ টি দেশের দূত রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদে রাশিয়া এবং ইউক্রেনের যুদ্ধে পাকিস্তানকে মস্কোর বিরুদ্ধে ভোট দিতে বলেছিলেন। যে কাজটা করে ওই দূতরা ‘প্রোটোকল’ ভেঙেছিলেন বলে দাবি করেন ইমরান। তাঁর কথায়, ‘আমি ওঁদের জিজ্ঞাসা করেছিলাম, আপনি ভারতকে কি এটা বলতে পারবেন। ভারতকে বলার সময় (ভয়ে) মরে যান এঁরা। আমার ওঁদের চাকর নাকি যে ওঁদের কথা মতো রাশিয়ার বিরুদ্ধে বিবৃতি দেব!’
সেই বিষয়টি নিয়ে বিরোধী দলনেতা শাহবাজ শরিফকে তীব্র আক্রমণ করেন ইমরান। কটাক্ষ করেন, শ্যুট-বুট পরা কোনও শ্বেতাঙ্গ দেখলেই তাঁর জুতো পালিশ করতে শুরু করে দেন শাহবাজ। কিন্তু কারও সামনে মাথা নত করবেন না। ইমরান বলেন, ‘নিজেদের পায়ে না দাঁড়ালে পাকিস্তান কখনও এগিয়ে যেতে পারবে না।’ এমনকী ইমরান দাবি করেন, তিনি আমেরিকাকে মুখের উপর বলে দিয়েছেন যে যুদ্ধের সময় পেন্টাগনের পাশে নেই পাকিস্তান। শান্তির ক্ষেত্রে থাকবে।