পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর প্রথমবার বিশাল জনসভায় সমর্থকদের সামনে বক্তব্য রাখলেন। সেই জনসভায় বক্তব্য রেখে সকলকে চমকে দিলেন ইমরান খান। আগাম নির্বাচনের দাবিতে লংমার্চ বাতিল করার কথা ঘোষণা করলেন। বিশৃঙ্খলার আশঙ্কায় তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন। সেইসঙ্গে তাঁর আরও চমক, আগাম নির্বাচনের দাবি জোরদার করার লক্ষ্যে তাঁর দল সমস্ত প্রাদেশিক পরিষদগুলো করবেন বলেও তিনি ঘোষণা করেছেন। রাওয়ালপিন্ডি শহরে আয়োজিত একটি জনসভা থেকে একথা ঘোষণা করেন ইমরান।
ইমরান খান বক্তৃতায় বলেন, ‘আমরা দুর্নীতিগ্রস্ত এই সরকারের অংশ হতে চাই না। আমরা দুর্নীতিবাজ সরকার থেকে বের হওয়ার জন্য প্রাদেশিক পরিষদগুলো থেকে পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ ইমরানের দল পাকিস্তান তেহরিক ই ইনসাফ (পিটিআই) ইতোমধ্যেই ফেডারেল পার্লামেন্ট থেকে পদত্যাগ করেছে। তবে দুটি প্রদেশ এবং দুটি প্রশাসনিক ইউনিট- গিলগিট-বালিস্তান ও পাকিস্তান শাসিত কাশ্মিরে ক্ষমতায় রয়েছে।সরকারকে আগাম নির্বাচনে চাপ দিতেই ইমরান খান পঞ্জাব ও খায়বার পাকতানখাওয়া প্রদেশের পরিষদ থেকে পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞের।
পিটিআই টুইটারে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছে। তাতে ইমরানকে বলতে শোনা যায়, ‘আমরা এই সরকারের অংশ হতে চাই না। আমি আমাদের সমস্ত মুখ্যমন্ত্রী এবং আমাদের সংসদীয় দলের নেতাদের সঙ্গে দেখা করব। দেশে অরাজকতা ও হিংসা ছড়ানোর পরিবর্তে এই দুর্নীতিবাজ সরকার থেকে বেরিয়ে আসাটাই ভালো হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভয় পুরো জাতিকে ক্রীতদাসে পরিণত করে। সরকার ইসলামাবাদে একটি মিছিল মোকাবেলা করতে পারে না। তারা যত খুশি পুলিশ ডাকতে পারে। কিন্তু তারা কয়েক হাজার মানুষকে ইসলামাবাদে প্রবেশ করা বন্ধ করতে পারে না। আমরা শ্রীলঙ্কার মতো পরিস্থিতি তৈরি করতে পারতাম। আমি চাই না দেশে অরাজকতা থাকুক। আমি এই দেশের কোনও ক্ষতি করতে চাই না।’