২০২১ সালে সারা গ্লোবাল ইনোভেশন ইনডেক্সে বিশ্বের ১৩২ টি অর্থনৈতিক অস্তিত্বের মধ্যে পাকিস্তানের স্থান ৯৯ তম। ইমরান খানের দেশের এই নয়া পরিস্থিতি একাধিক উদ্বেগের সঞ্চার করছে। পাকিস্তানের এক স্থানীয় মিডিয়ার খবর অনুযায়ী পাকিস্তান একসঙ্গে একাধিক সমস্যায় ভুগছে। পাকিস্তানে এই মুহূর্তে অন্যতম বড় সমস্যা হু হু করে পড়তে থাকা স্বাক্ষরতার হার। এরই সঙ্গে ইমরান প্রশাসনের শিক্ষাক্ষেত্রে বিনিয়োগের কমতি যেমন একটি সমস্যাজনক দিক, তেমনই চাকরি ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণের মানও সেদেশে পড়ে গিয়েছে বলে দাবি করেছে পাকিস্তানের স্থানীয় সংবাদপত্র। আর এই সমস্ত ক্ষেত্রের পাশাপাশি, পাকিস্তানের গ্লোবাল ইনোভেশন ইনডেক্সের মান নামতে শুরু করে দিয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালে গ্লোবাল ইনোভেশন ইনডেক্সের নিরিখে ১৩২ টি আর্থিক অস্তিত্বের মধ্যে পাকিস্তানের ৯৯ তম স্থানে অবস্থান করা মোটেও ইসলামাবাদের জন্য সুখবর নয়। স্থানীয় মিডিয়া রিপোর্ট বলছে, এর নেপথ্যে রয়েছে, দেশের নিম্নমানের স্বাক্ষতার হার, আর উদ্ভবনী ক্ষেত্রে ইমরান সরকারের বিনিয়োগের কমতি। স্থানীয় মিডিয়া রিপোর্ট বলছে, শিক্ষাক্ষেত্রেই শুধু নয়, উন্নয়ন ও গবেষণা ক্ষেত্রেও সেভাবেন বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে ইমরান প্রশাসনের আগ্রহ দেখা যায়নি। দেশের জিডিপির ২.৯ শতাংশ হচ্ছে পাকিস্তানে শিক্ষা ক্ষেত্রে খরচ বরাদ্দ। সংবাদমাধ্যম 'দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন' এর খবর অনুযায়ী, গোটা দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে পাকিস্তানে সবচেয়ে কম রয়েছে স্বাক্ষরতার হার। রিপোর্ট বলছে, পাকিস্তানের স্বাক্ষরতার হার মোট ৬২.৩ শতাংশ। সেখানে পাকিস্তানে মহিলাদের স্বাক্ষরতার হার ৫১.৭ শতাংশ।
উল্লেখ্য, যে সমস্ত ক্ষেত্র পাকিস্তানে উদ্ভাবনী শক্তিকে আরও বেশি জোরদার করতে পারে, তারমধ্যে রয়েছে গবেষণাধর্মী ও চাকরি ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণের দিক। যে দিকগুলিতে পাকিস্তান কার্যত দুর্বল বলে দাবি করেছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমটি। এদিকে, গ্লোবাল ইনোভেশন ব়্যাঙ্কিং-এর তালিকায় সুইৎজারল্যান্ড, সুইডেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দখল করে রয়েছে প্রথমের তিনটি স্থান। তালিকায় ভারত রয়েছে ৪৬ তম স্থানে। ইরান রয়েছে ৬০ তম স্থানে। উল্লেখ্য, এশিয়ার মধ্যে ভিয়েৎনামের স্থান এই তালিকায় ৪৪।