মার্কিন পডকাস্টার লেক্স ফ্রিডম্যানের সঙ্গে আলাপচারিতায় পাকিস্তানের 'আসল রূপ' তুলে ধরেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কথায়, 'বিশ্বের যে কোনও প্রান্তেই জঙ্গি হামলা হোক না কেন, তার সঙ্গে ঠিক কোনও না কোনওভাবে পাকিস্তান যোগ মিলবে'। আর মোদীর বক্তব্যে 'কান লাল' হল ইসলামাবাদের। এই আবহে পাকিস্তানের ফরেন অফিস এই নিয়ে মুখ খুলেছে। (আরও পড়ুন: ‘গুজব’ ছড়াতেই হিংসায় পুড়ল নাগপুর, জখম ২৫ পুলিশ, আটক ২০; কী কারণে ঝামেলা?)
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি হিন্দুদের নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ তুলসির, ঘুম উড়ল ইউনুসের, ঢাকা বলল...
মোদীর পডকাস্ট মন্তব্য প্রসঙ্গে পাকিস্তান বলল, 'পাকিস্তান নিয়ে নরেন্দ্র মোদীর মন্তব্য বিভ্রান্তিকর এবং একতরফা। তারা সুবিধামতো জম্মু ও কাশ্মীর ইস্যুকে বাদ দেয়। রাষ্ট্রসংঘ, পাকিস্তান এবং কাশ্মীরি জনগণের কাছে ভারতের দৃঢ় আশ্বাস সত্ত্বেও গত সাত দশক ধরে অমীমাংসিত রয়ে গিয়েছে এই ইস্যু। অন্যদের দোষারোপ করার পরিবর্তে, বিদেশের মাটিতে হত্যা, বিদ্রোহ ও সন্ত্রাসবাদের নিজস্ব রেকর্ডের ওপর প্রতিফলন করা উচিত ভারতের। পাকিস্তান সবসময় জম্মু ও কাশ্মীরের মূল বিরোধ সহ সমস্ত অমীমাংসিত সমস্যা সমাধানের জন্য গঠনমূলক সম্পৃক্ততা এবং ফলাফল-ভিত্তিক আলোচনার পক্ষে। তবে ভারতের অনমনীয় দৃষ্টিভঙ্গি এবং আধিপত্যবাদী উচ্চাকাঙ্ক্ষার কাছে আটক হয়ে আছে দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা।'
উল্লেখ্য, মোদীর বক্তব্যের পর পাকিস্তান কাশ্মীর নিয়ে সেই এক পুরনো রেকর্ড বাজাল। এর আগে মার্কিন পডকাস্টারকে পাকিস্তান নিয়ে মোদী বলেছিলেন, 'বিশ্বের যে কোনও প্রান্তেই জঙ্গি হামলা হোক না কেন, তার সঙ্গে ঠিক কোনও না কোনওভাবে পাকিস্তানের যোগসূত্র মিলবেই। আমেরিকায় এত বড় ৯/১১ হামলার ঘটনা ঘটল। ওই হামলার যে মূলচক্রী (ওসামা বিন লাদেন) ছিল, শেষপর্যন্ত তার হদিশ কোথায় মিলল? পাকিস্তানেই বসেছিল। দুনিয়া জেনে গিয়েছে যে পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদী প্রবৃত্তি, সন্ত্রাসবাদী মানসিকতা তৈরি হয়ে আছে।'
ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, 'শুধু ভারত নয়, পুরো বিশ্বের কাছেই মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে (পাকিস্তান)। আমরা বারবার বলে এসেছি যে এই পথে হেঁটে কার ভালো হবে? আপনারা সন্ত্রাসবাদের রাস্তা তো ছেড়ে দিন। রাষ্ট্রের মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদে ইতি টানতে হবে। সন্ত্রাসবাদের রাস্তা থেকে সরিয়ে এনে পাকিস্তানের সঙ্গে শান্তি স্থাপনের জন্য একাধিকবার চেষ্টা করেছি। কিন্তু প্রতিবারই জুটেছে বিশ্বাসঘাতকতা। আমরা আশা করব যে পাকিস্তানের শুভবুদ্ধির উদয় হবে এবং ওরা শান্তির পথ বেছে নেবে।' মোদী বলেছিলেন, 'শান্তি স্থাপনের জন্য আমি নিজে লাহোরে চলে গিয়েছিলাম। আমি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে শপথ অনুষ্ঠানে পাকিস্তানকে বিশেষভাবে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম, যাতে একটা শুভ সূচনা হয়। কিন্তু প্রতিবার ভালো প্রয়াসের ফল হয়েছে নেতিবাচক। আমার মতে, ওখানকার মানুষও হতাশ... তারা এরকম মারধর, সন্ত্রাসবাদ চান না। যুব সম্প্রদায়ের যারা জঙ্গি হয়ে যাচ্ছে, তাদের মৃত্যু হচ্ছে। জীবন তছনছ হয়ে যাচ্ছে।'