ফের বিশ্বের সামনে বেআব্রু ইমরান খান সরকার। সন্ত্রাসের জন্য অর্থের ব্যবহার রুখতে ৪০টি সুপারিশের মধ্যে মাত্র দুটি কার্যকর করেছে পাকিস্তান। এশিয়া-প্যাসিফিক গ্রুপের (এপিজি) রিপোর্টে এই তথ্য উঠে এসেছে। প্রসঙ্গত, এক সপ্তাহ বাদেই Financial Action Task Force (FATF)-এর গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক। তারা ঠিক করবে বিদেশ থেকে পাকিস্তান বিভিন্ন খাতে টাকা পাবে কিনা। তার আগেই এফএটিএফ-এর শাখা সংগঠনের রিপোর্টে উঠে এল উদ্বেগজনক চিত্র।
এপিজি বলেছে এক বছর আগে পাকিস্তান মাত্র একটি সুপারিশ মান্য করেছিল। এখন সেই সংখ্যাটি দুই হয়েছে। এফএটিএফ ভার্চুয়াল প্লেনারি হবে ২১-২৩ অক্টোবর। সেখানে সন্ত্রাসের জন্য অর্থের ব্যবহার রুখতে পাকিস্তান কতটা কাজ করেছে, সেটা নির্ধারিত হবে।
বর্তমানে পাকিস্তান গ্রে লিস্টে আছে। সূত্রের খবর, চিন, তুরস্ক ও মালয়েশিয়ার বদান্যতায় সেখানেই থাকবে তারা। পাকিস্তান ব্ল্যাক লিস্টে গেলে তাদের ওপর আর্থিক কড়াকড়ি আরও বৃদ্ধি পাবে। কিন্তু তিনটি দেশ আপত্তি জানালেই সেটা আটকানো যাবে।
এপিজি যে ৪০টি সুপারিশ দিয়েছে তার মধ্যে পাকিস্তান একদমই মান্য করেনি চারটি, আংশিক মেনেছে ২৫টি ও মোটের ওপর সুপারিশ মেনেছে নয়টি ক্ষেত্রে। তবে শুধু দুটি ক্ষেত্রেই পুরো কাজ হয়েছে।
এপিজি জানিয়েছে পাকিস্তান enhanced follow-up শ্রেণিতে থাকবে। প্রত্যেক ত্রৈমাসিকে তাদের প্রগ্রেস রিপোর্ট দিতে হবে। এছাড়াও এফএটিএফ ২৭টি অ্যাকশন পয়েন্ট দিয়েছে, যার মধ্যে শুধু ১৪টি মান্য করেছে ইমরান খান সরকার।
এপিজি বলছে যে নন-প্রফিট অর্গানাইজেশনের আড়ালে সন্ত্রাসের কাজ এখনও চলছে পাকিস্তানে। চ্যারিটি সংস্থার নেপথ্যে থাকছে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন যারা সেই অর্থ ব্যবহার করছে জঙ্গি কার্যকলাপের জন্য। এমন ১৩০৭টি সংস্থাকে চিহ্নিত করা হয়েছে।