রাজনৈতিক সংকটের মধ্যে অর্থনৈতিক দিক থেকে অতল গহ্বরে পড়ে গেল পাকিস্তান। অর্থনৈতিক অর্থ ভাণ্ডারের (আইএমএফ) ছয় বিলিয়ন ডলারের কর্মসূচি স্থগিত করে দেওয়া হল। যে অর্থ চলতি মাসে ছাড়া হবে না বলে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য নিউজের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। সেই পরিস্থিতিতে ডলারের নিরিখে সর্বকালীন নীচু স্তরে নেমে গিয়েছে পাকিস্তানি রুপি।
ইসলামাবাদে আইএমএফের প্রতিনিধি এসথার পেরেজ রুইজ জানিয়েছেন, যতক্ষণ না নয়া সরকার গঠিত হচ্ছে, ততক্ষণ সেই তহবিল ছাড়া হবে না। তিনি জানিয়েছেন, সেই তহবিলের মাধ্যমে পাকিস্তানকে সাহায্য করতে মুখিয়ে আছে (আইএমএফ)। নয়া সরকার গঠিত হলেই অর্থনীতির ভারসাম্যের দিকে নজর দেওয়া হবে। তবে আইএমএফের কর্মসূচি বন্ধ করে দেওয়ার কোনও পরিকল্পনা নেই।
আরও পড়ুন: খানসামার পতন, এবার কী হবে পাকিস্তানে?
সেই পরিস্থিতিতে রেকর্ড গড়েছে পাকিস্তানি রুপি। ডলারের নিরিখে সর্বকালীন নীচু স্তরে নেমে গিয়েছে। মঙ্গলবার বাজার বন্ধের সময় এক ডলারের দাম দাঁড়িযেছে ১৮৫.২৩ টাকা। ইতিহাসে এই প্রথমবার ১৮৫ টাকার গণ্ডি পেরিয়ে গিয়েছে পাকিস্তানি রুপির। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিয়ো টিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, এমনিতেই গত কয়েকদিন ধরে অন্যান্য মুদ্রার নিরিখে শক্তিশালী হয়েছে মার্কিন ডলার। সেই ধাক্কার মধ্যেই অনিশ্চিত রাজনৈতিক ভবিষ্যতের জেরে আইএমএফ ছয় বিলিয়ন ডলারের কর্মসূচি স্থগিত করে দেওয়ায় রক্তক্ষরণ হয়েছে পাকিস্তানি রুপির।
পাকিস্তানের রাজনৈতিক অবস্থা
পাকিস্তানে চরমে উঠেছে রাজনৈতিক নাটক। এই আবহে অনাস্থা প্রস্তাব এবং সংসদ ভেঙে দেওয়ার প্রসঙ্গটি সেদেশের সুপ্রিম কোর্টের বিচারাধীন রয়েছে। আর এই মামলা চলাকালীন সুপ্রিম কোর্টে বড় ধাক্কা খেয়েছেন ইমরান খান। তাঁর সুপারিশে পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি সেদেশের সংসদ ভেঙে দেওয়ার ইস্যুতে দায়ের করা মামলায় রায়দান স্থগিত রেখেছেন পাকিস্তানের শীর্ষ আদালত। তারইমধ্যে আদালতের একটি উল্লেখযোগ্য পর্যবেক্ষণে বড় ধাক্কা খেয়েছেন ইমরান। এই পর্যবেক্ষণের প্রেক্ষিতে যদি পরবর্তীতে পাক সুপ্রিম কোর্ট রায়দান করে তাহলে ইমরানের কপালে দুঃখ আছে।