কয়লা খনি থেকে ১১টি দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গত সপ্তাহে যাঁরা মারা গিয়েছিলেন। মিথেন গ্যাসের বিস্ফোরণে কয়লা খনি ধসে পড়ে। আর তার জেরেই মারা যায় একের পর এক মানুষ। দক্ষিণ–পশ্চিম পাকিস্তানের এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১১ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে বলে সরকারিভাবে জানানো হয়েছে। এই ঘটনায় প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানে আতঙ্কের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। এই কয়লা খনিতে কেমন করে মিথেন গ্যাসের বিস্ফোরণ ঘটল? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
এদিকে উদ্ধার কাজের অভিযান আজ, সোমবারও জারি আছে। কারণ এখনও দ্বাদশ ব্যক্তির খোঁজ মেলেনি। বৃহস্পতিবার থেকে ওই ব্যক্তি নিখোঁজ বলে জানা গিয়েছে। কয়লা খনি যখন ধসে পড়েছিল তখন থেকেই নিখোঁজ ওই ব্যক্তি। বালুচিস্তানের সিঙ্ঘডি শহরে এই ঘটনা ঘটেছিল বলে জানান কয়লা খনির ইনস্পেক্টর আবদুল ঘানি। রবিবার দিন দু’জন কয়লা খনির শ্রমিক মারা গিয়েছে। যখন বালুচিস্তান জেলার আর একটি কয়লা খনি হারনাই ধসে পড়ে।
আরও পড়ুন: র্যাগিংয়ে অভিযুক্তদের মার্কশিট নয়, এবার কড়া পদক্ষেপ নেবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়
অন্যদিকে সুরক্ষার যে বিষয়গুলি নেওয়ার দরকার ছিল সেগুলি এই কয়লা খনিতে নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। আর তার জেরে প্রত্যেক বছরই পাকিস্তানে এক ডজন শ্রমিক মারা যান। কয়লা খনির মালিকরা এই সুরক্ষা ব্যবস্থা না নিয়েই তা চালায়। এই নিয়ে একাধিকবার অভিযোগও উঠেছে। কিন্তু তারপরও একইভাবে চালানো হয়েছে কয়লা খনি বলে অভিযোগ। কেমন করে তা চলল? প্রশাসন কেন দেখেনি? কেন কড়া পদক্ষেপ করা হয়নি? এখন এমন সব প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তবে বারবারই বিপুল পরিমাণ কয়লা খনি শ্রমিকের অকালে প্রাণ ঝরছে।
এছাড়া গত সপ্তাহে পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী ৮জন কয়লা খনি শ্রমিককে উদ্ধার করেছে। যাঁরা অপহরণ হয়ে পড়েছিলেন। মোট ১৬ জন শ্রমিক সেখানে কাজ করছিলেন। বাকিদের উদ্ধারে এখনও অভিযান চলছে। স্থানীয় জঙ্গিরা এই কয়লা খনি শ্রমিকদের অপহরণ করে রেখেছে বলে অভিযোগ। পাকিস্তানের উত্তর–পশ্চিম দিকে এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যাচ্ছে। সুতরাং এই দুটি ঘটনা থেকে স্পষ্ট হচ্ছে, পাকিস্তানে কয়লা খনি শ্রমিকরা প্রচণ্ড নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। কারণ একদিকে কয়লা খনি ধসে প্রাণ যাচ্ছে। তা না হলে জঙ্গিরা অপহরণ করে অত্যাচার করছে। এই কারণে শ্রমিকদের পরিবার উৎকণ্ঠায় রয়েছেন।