‘আমেরিকার সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক মালিক আর চাকরের মতো। বা মালিক দাসের মতো সম্পর্ক।’ এভাবেই ওয়াশিংটনের সঙ্গে ইসলামাবাদের সম্পর্ককে ব্যখ্যা করলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। উল্লেখ্য, পাকিস্তানের গদি থেকে তাঁর পদচ্যূতি নিয়ে বহুদিন ধরেই তিনি মার্কিনি ষড়যন্ত্রকে দায়ী করেছেন। তবে সদ্য তিনি বলছেন, ‘আমরা হচ্ছি ভাড়া করা বন্দুক। তবে আমি সেজন্য আমার নিজের দেশের সরকারকে দায়ী করব, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের থেকেও বেশি। ’
বছরের মাঝামাঝি সময়ে পাকিস্তানের গদি থেকে বাতাড়িত হন ইমরান। পাক সংসদে রাজনৈতিক সংখ্যা গরিষ্ঠতার 'যুদ্ধে' পিছিয়ে যায় তাঁর পার্টি তেহরিক এ ইনসাফ। এরপর থেকেই নতুন শাহবাজ শরিফ সরকারের বিরুদ্ধে গোটা পাকিস্তান জুড়ে প্রচারে নেমেছেন ইমরান খান। সদ্য এমনই একটি সভায় তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চলে। পায়ে চোটও পান তিনি। ভর্তি হন লাহোরের হাসপাতালে। পরে সেই হাসপাতাল থেকেই সোচ্চার কণ্ঠে শাহবাজ সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন ইমরান খান। এরপর পাকিস্তানের টিভি ব্রডকাস্টিং চ্যানেলগুলি ইমরান খানের এই লং মার্চ ঘিরে সমস্ত সভার সম্প্রচার বন্ধ করে দেয়। পরবর্তীকালে তদন্তও শুরু হয় ইমরানের ওপর গুলি চালনার। ঘটনার দিনই ধরে পড়ে আততায়ী। সেই পর্বের পর ফের একবার রাজনৈতিক আলোচনায় ফিরে ইমরান নতুন করে আমেরিকার সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুলেছেন।
আমেরিকার ষড়যন্ত্রে তাঁর গদি চলে যাওয়াকে নিয়ে ইমরান খান বলছেন, ‘ যতদূর আমার মনে হচ্ছে এগুলো পেরিয়ে এসেছি।’ প্রসঙ্গত, যে রাতে ইউক্রেনকে রাশিয়া আক্রমণ করেছিল, সেই রাতে ইমরান পা রাখেন মস্কোতে। সেই সময়ই ইমরান বলেছেন, ‘এটা খুবই অস্বস্তিকর।’ ইমরান এও বলছেন যে, আগামীর পাকিস্তানে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সেনা একটি বড় ভূমিকা পালন করতে পারে। শাহবাজ শরিফকে আক্রমণ করে তিনি তাঁকে দুর্বল প্রধানমন্ত্রী হিসাবে ব্যখ্যা করছেন। ইমরান বলছেন, মসনদে একজন বসে রয়েছেন আর ‘নির্দেশ অন্য কোথাও থেকে আসছে।’ এই বার্তাতেও কার্যত আমেরিকার দিকে তাঁর প্রচ্ছন্ন নজর প্রকাশিত হচ্ছে।