ফের জম্মু ও কাশ্মীরের আকাশে উড়তে দেখা গেল পাকিস্তানি ড্রোন। তবে এবার আর ড্রোনটি পালাতে পারেনি। পুলিশের গুলিতে ড্রোনটি মাটিতে পড়ে যায়। ঘটনাটি ঘটে জম্মুর কানাচকে। সেই ড্রোনের সঙ্গে লাগানো পাঁচ কেজি বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অপর এক ঘটনায় কাশ্মীরের সোপোরে সারা রাত ধরে এনকাউন্টার চলে। সেই গুলির লড়াইতে খতম করা হয়েছে ২ জন লস্কর-ই-তৈবা কমান্ডার। মৃত জঙ্গিদের কাছ থেকে অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
এর আগে বুধবার সাতওয়ারি এলাকায় একটি সন্দেহজনক ড্রোনকে উড়তে দেখা গিয়েছিল। তারও আগে ১৬ জুলাই জম্মু বিমান ঘাঁটির আশেপাশে ফের ড্রোন উড়ছিল বলে অ্যান্টি-ড্রোন রাডারে ধরা পড়েছিল। বর্তমানে জম্মুতে মোট তিনটি অ্যান্টি-ড্রোন রাডার বসিয়েছে ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড। জম্মুতে এবং দেশের কোনও বিমান ঘাঁটিতে যাতে কোনও ভাবে ড্রোন হামলা না চালানো যায়, তার জন্যে যথাযথ পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার।
উল্লেখ্য, সীমান্তবর্তী অঞ্চলে হেরোইন চোরাচালান ও ভারতের সীমান্তে অস্ত্র পাচারের জন্য পাকিস্তান ব্যাপকভাবে ড্রোন ব্যবহার করেছে গত একবছরে। তবে জুন মাসে জম্মুতে বায়ুসেনার ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছিল। জম্মু বিমানবন্দরের বায়ুসেনার স্টেশনে দুটি বিস্ফোরক-বোঝাই ড্রোন আছড়ে পড়েছিল। তারপর থেকেই জম্মুর বিভিন্ন জায়গায় পরপর ড্রোনের দেখা মিলেছে।
এদিকে সোপোরের এনকাউন্টার নিয়ে কাশ্মীর জোনের আইজি বিজয় কুমার জানিয়েছেন, সূত্র মারফত খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার রাতে সোপোরের ওয়ারপোরা এলাকায় অভিযান চালায় নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ানরা। পুরো এলাকা চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে বাহিনী। এক এক করে সবক’টি বাড়িতে ঢুকে ঢুকে তল্লাশি অভিযান চলে। এভাবে একটি বাড়িতে জঙ্গিদের থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর চূড়ান্ত অভিযান চালানো হয়।