পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি দাবি করলেন, বিশ্বের অন্যতম বিপজ্জনক দেশের তালিকায় পাকিস্তানের নাম থাকবে। কারণ ইসলামাবাদের হাতে যে পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার আছে, তাতে কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই।
শুক্রবার ডেমোক্রেটিক কংগ্রেসেশনাল ক্যাম্পেন কমিটি রিসেপশনে একাধিক বিদেশি রাষ্ট্র নিয়ে মুখ খোলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। উঠে আসে পাকিস্তানের প্রসঙ্গও। টেলিভিশন বিজ্ঞানী বিল নাই এবং ফ্যাশন ডিজাইনার টম ফোর্ড-সহ দর্শকদের উদ্দেশ্যে ভাষণের সময় বাইডেন বলেন, 'আমার মনে হয়, বিশ্বের অন্যতম বিপজ্জনক দেশ হল পাকিস্তান। সে দেশের হাতে নিয়ন্ত্রণহীন পারমাণবিক অস্ত্র আছে।'
যদিও বাইডেন মুখে সেই কথা বললেও গত মাসের গোড়ার দিকে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান রক্ষণাবেক্ষণে পাকিস্তানকে ৪৫০ মিলিয়ন ডলার সাহায্য করেছে আমেরিকা। তা নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করে ভারত। কূটনৈতিক স্তরে তা বুঝিয়েও দেয় নয়াদিল্লি।
পেন্টাগনের এক শীর্ষ আধিকারিক অবশ্য বলেছিলেন, 'আমেরিকা যে অর্থ সহায়তা করেছে, তার ফলে জঙ্গি দমনের ক্ষেত্রে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান ব্যবহার করতে পারেন। তাতে আমেরিকার বৈদেশিক নীতি সুরক্ষিত থাকবে।' যদিও কূটনৈতিক মহলের একাংশের বক্তব্য ছিল, আদৌও পাকিস্তান জঙ্গি দমনের ক্ষেত্রে যুদ্ধবিমান ব্যবহার করবে তো? নাকি পুরোটাই লোকদেখানো হবে?
চিন নিয়ে বাইডেন
পাকিস্তানের পাশাপাশি শুক্রবার চিনের বিষয়েও মুখ খোলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। ডেমোক্রেটিক কংগ্রেসেশনাল ক্যাম্পেন কমিটি রিসেপশনে তিনি দাবি করেন, চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে যোগাযোগ তৈরির কাজটা তাঁর কাঁধে সঁপে দিয়েছিলেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাবাক ওবামা।
আরও পড়ুন: Joe Biden attacks Russia: পরমাণু যুদ্ধ করে জয় আসবে না, পুতিনের হুঁশিয়ারির পরে বার্তা বাইডেনের
বাইডেনের কথায়, 'বিশ্বের অন্য যে কোনও রাষ্ট্রনেতার থেকে শি জিনপিংয়ের সঙ্গে আমি সময় কাটিয়েছে। গত ১০ বছরে আমি ৭৮ ঘণ্টা কাটিয়েছি। ওরা সেটার হিসাব রেখে দেয়। তার মধ্যে ৬৮ ঘণ্টা মুখোমুখি কাটিয়েছি। কারণ বাবাক ওবামা জানতেন যে উনি এখন ভাইস-প্রেসিডেন্টকে সামলাতে পারবেন না। তাই উনি আমায় দায়িত্ব দিয়েছিলেন।' সেইসঙ্গে জিনপিংয়ের বিষয়ে বাইডেন বলেন, 'এই লোকটা খুব ভালোভাবে জানেন যে তাঁর কী চাই। কিন্তু তাঁর প্রচুর সমস্যা আছে।'