বেআব্রু করে দিয়েছেন বিরোধী সাংসদ। তা সামাল দিতে তড়িঘড়ি আসরে নামল পাকিস্তানি সেনা। ড্যামেজ কন্ট্রোলের মরিয়া চেষ্টায় পাকিস্তানি সেনার তরফে দাবি করা হল, ভারতীয় বায়ুসেনার উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমানকে ‘মুক্তির’ ঘটনায় প্রকৃত তথ্য বিকৃত করা হচ্ছে।
বুধবার পাকিস্তানের সংসদে প্রাক্তন স্পিকার এবং পিএমএল-এনের সাংসদ আয়াজ সাদিক অভিযোগ করেছিলেন, পুলওয়ামা হামলার ঘটনায় পাকিস্তানের নেতারা আতঙ্কে পড়েছিলেন। তারপর ভারতীয় বায়ুসেনার যুদ্ধবিমান ‘গুলি করে নামানোর ঘটনা ঘটে’। তিনি আরও দাবি করেছিলেন, ভারতের রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে দেখা না করেই উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমানকে ফেরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ইমরান। বিরোধী সাংসদ অভিযোগ করেন, পাকিস্তানের শীর্ষ নেতৃত্ব এতটাই আতঙ্কে ছিল যে ‘ভয়ে পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশির পা কাঁপছিল।’
তার জেরে স্বভাবতই চূড়ান্ত অস্বস্তিতে পড়ে ইমরান খান প্রশাসন। সেই অস্বস্তির মাত্রা এতটাই বেশি ছিল যে ইমরানের মুখ বাঁচাতে আসরে নামে পাকিস্তানি সেনা। তড়িঘড়ি সাংবাদিক বৈঠক ডেকে বৃহস্পতিবার ইন্টার-সার্ভিস পাবলিক রিলেশনস মেজর জেনারেল বাবর ইফতিকার দাবি করেন, ‘একটি দায়িত্ববান রাষ্ট্রের পরিণত প্রতিক্রিয়া’ হিসেবে উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমানকে ছাড়া হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘গতকাল (বুধবার) একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে, যেখানে (অভিনন্দন বর্তমানের মুক্তি সংক্রান্ত) তথ্য বিকৃত করার চেষ্টা করা হয়েছে।’
মরিয়া ড্যামেজ কন্ট্রোলের মধ্যেই ভারতের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে চূড়ান্ত অস্বস্তিকর পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করেন মেজর জেনারেল বাবর। তিনি দাবি করেন, গত বছর ২৬ ফেব্রুয়ারি ‘যাবতীয় আন্তর্জাতিক নীতি লঙ্ঘন করেছিল এবং পাকিস্তানকে আক্রমণ করেছিল।' তা ভারত নাকি ‘শুধুমাত্র হারের মুখ দেখেনি, বরং সারা বিশ্বে চূড়ান্ত অপদস্থ হয়েছিল।’ তারই অঙ্গ হিসেবে ‘শুত্রুপক্ষকে যোগ্য জবাব দেওয়ার' সিদ্ধান্ত নিয়েছিল পাকিস্তানি সেনা। ইমরানের বিদেশমন্ত্রী ‘পা কাঁপার’ তত্ত্বের ভিত্তিতে তিনি দাবি করেন, ভারত নাকি ‘আতঙ্কিত’ হয়ে পড়েছিল।