ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ হয়ে যাওয়ার পর থেকেই সাংবিধানিক সংকটে ভুগছে পাকিস্তান। আপাতত দেশের কোনও প্রধানমন্ত্রী নেই। আস্থা ভোটের বিষয়টিও এখনও পাক সুপ্রিম কোর্টে ঝুলে রয়েছে। এরই মাঝে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী বাছাই করার প্রক্রিয়া শুরুর জন্য ইমরান খান ও বিরোধী দলনেতা শেহবাজ শরিফের কাছে আর্জি জানালেন পাক স্পিকার আসাদ কাইসার। পাক সংবিধান অনুযায়ী তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করতে করেন ট্রেজারির চার সদস্যের একটি সংসদীয় কমিটি। এই আবহে সেই কমিটির সদস্যদের বাছাই করার জন্য ইমরান ও শেহবাজকে অনুরোধ জানালেন পাক অ্যাসেম্বলির স্পিকার।
এর আগে পাক রাষ্ট্রপতি ইমরানের সুপারিশে অ্যাসেম্বলি ভেঙে দেওয়ার পর পাক সরকারের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল যে ইমরান খান নিয়াজি এখন আর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নন। ক্যাবিনেটের অতিরিক্ত সচিবের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে পরিষ্কার হয়, বর্তমানে সে দেশের সরকার আমলাদের দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। এই অভিনব সংকটের মধ্যে পাকিস্তানের সেনার হাতে দেশের রাশ চলে যাবে কি না, তা নিয়ে অনেকের মনে সংশয় থাকলেও এখনও পর্যন্ত সেরম কোনও ইঙ্গিত মেলেনি পাক সেনার তরফে।
এদিকে বিরোধীরা ইতিমধ্যেই ১৯৫ জন সদস্যের সমর্থনে শেহবাজ শরিফকে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে ঘোষণা করেছিলেন। বিরোধীরা সংসদ ভেঙে দেওয়ার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টেও গিয়েছেন। সেই মামলার শুনানি চলছে প্রতিদিন। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি অনেকটাই জটিল। তার মাঝে আবার পাক নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব নয়। এই আবহে বিনা প্রধানমন্ত্রীতে ইতিমধ্যেই তিন দিন কাটিয়ে ফেলেছে পাকিস্তান।