ইজরায়েলের সঙ্গে মুসলিম বিশ্বের সম্পর্ক ঐতিহাসিক ভাবে ‘খারাপ’। তবে বিগত দিনে ক্রমেই এই সম্পর্কের উন্নতি হচ্ছে। সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরশাহির সঙ্গে শান্তিচুক্তি হয়েছে ইজরায়েলের। এরপরও অবশ্য পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ইজরায়েলের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্কের উন্নতির বিরোধিতা করেছিলেন। তবে এবার তাঁরই দলের শীর্ষ স্থানীয় নেতা তথা পাক অধিকৃত কাশ্মীরের প্রধানমন্ত্রী দাবি করলেন যে ইজরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করা উচিত পাকিস্তানের। যা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে পাকিস্তান জুড়ে।
পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরের প্রধানমন্ত্রী সরদার তানভীর ইলিয়াসের বক্তব্য, ইজরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া নিয়ে দেশে আলোচনা হওয়া উচিত। তাঁর এই ‘আহ্বানে’ ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। পাক অধিকৃত কাশ্মীরের প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যের নিন্দা করেছেন পাকিস্তানি রাজনীতিবিদরা। সোশ্যাল মিডিয়াতেও পাকিস্তানিরা নিজেদের ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন অনেকে। সবার বক্তব্যের সারমর্ম - ইহুদি রাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার কথা বলে ঠিক করেননি সরদার তনভীর। প্রসঙ্গত, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দলের সদস্য। ইমরান নিজে পাকিস্তানের সঙ্গে ইজরায়েলের সম্পর্কের ঘোর বিরোধী।
সম্প্রতি একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। তাতে সরদার তনভঈরকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘পাকিস্তান যদি ইজরায়েলকে স্বীকৃতি দেয় তাহলে চিন্তার কোনও বিষয় নেই। এটা এই অঞ্চলের সত্যি। পাকিস্তানকে কোনও ভআবে একঘরে করা যাবে না।’ তিনি বলেন, ‘ইজরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া নিয়ে খোলা আলোচনা হওয়া উচিত।’ তাঁর বক্তব্য, ‘আমাদের দেশের শিক্ষিত সমাজের উচিত আল আকসা মসজিদ এবং ইজরায়েল নিয়ে আলোচনা করা। মাঝে মাঝে আলোচনা ইতিবাচক ফল নিয়ে আসে।’