এমনিতেই প্রবল আর্থিক সংকটে ভুগছে। এবার প্রবল কাগজ সংকট দেখা দিল পাকিস্তানে। তার জেরে নয়া শিক্ষাবর্ষে পড়ুয়ারা আদৌও বই জুটবে কিনা, তা নিয়ে আশঙ্কায় ভুগছে পাকিস্তানের পেপার অ্যাসোসিয়েশন। এমনটাই জানাল সংবাদসংস্থা এএনআই।
ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী মুদ্রাস্ফীতির জেরে পাকিস্তানের কাগজের সংকট দেখা দিয়েছে। সেইসঙ্গে পকিস্তান সরকারের ভ্রান্ত নীতি এবং স্থানীয় কাগজ কোম্পানির একাধিপত্যের জেরে কাগজের সংকটে ভুগছে পাকিস্তান। বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে অল পাকিস্তান পেপার মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, পাকিস্তান অ্যাসোসিয়েশন অফ প্রিন্টিং গ্রাফিক্স আর্ট ইন্ডাস্ট্রি, কাগজ শিল্পের সঙ্গে যুক্ত সংস্থার তরফে সতর্ক করে জানানো হয়েছে, কাগজ সংকটের কারণে নয়া শিক্ষাবর্ষে পড়ুয়ারা বই নাও পেতে পারেন। যে সাংবাদিক বৈঠকে হাজির ছিলেন পাকিস্তানের প্রথমসারির কাইজার বেঙ্গলি।
আরও পড়ুন: Asad Rauf: লাহোরে জুতো বিক্রি করছেন আইসিসি এলিট প্যানেলে থাকা আম্পায়ার!
পাকিস্তানের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সংবাদসংস্থা এএনআই জানিয়েছে, নিত্যদিন পাকিস্তানে কাগজের দাম বাড়ছে। লাগামছাড়া হয়ে উঠেছে দাম। সেই পরিস্থিতিতে বই মুদ্রণের ক্ষেত্রে সমস্যা বাড়ছে। কত টাকা দাম ধার্য করা হবে, তা নিয়ে ধন্দে আছেন পাকিস্তানের মুদ্রণকারী সংস্থাগুলি। ইতিমধ্যে সিন্ধ, পঞ্জাব এবং খাইবার পাখতুনখাওয়া স্কুলের পাঠ্যবই মুদ্রণ করতে পারেনি।
ঋণে ডুবে পাকিস্তান
ডয়চে ভলেরে প্রতিবেদন অনুযায়ী, আর্থিক সংকটের হাত থেকে পাকিস্তানকে বাঁচাতে ‘এগিয়ে এল’ চিন। চিনের একাধিক ব্যাঙ্কের কনসর্টিয়াম পাকিস্তানকে ২৩০ কোটি ডলার দিচ্ছে। পাকিস্তানের বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ের অবস্থা খুবই খারাপ জায়গায় এসে পৌঁছেছে। পাকিস্তানের মুদ্রার মূল্যও ভয়ংকরভাবে কমে গিয়েছে। এই সংকট থেকে ইসলামাবাদকে উদ্ধার করতে চিনের একাধিক ব্যাঙ্কের কনর্সটিয়াম ২৩০ কোটি ডলার দিচ্ছে।