ক্রমেই শ্রীলঙ্কার পথের পথিক হচ্ছে পাকিস্তান। চিনা ঋণে জর্জরিত পাকিস্তানের অর্থনৈতিক অবস্থা ক্রমেই আরও বেহাল হচ্ছে দিনকে দিন। এর জেরে চাপে পড়ছেন সেদেশের আম জনতা। সেদেশের জনগণের উপর আরও বোঝা চাপিয়ে এবার এক লাফে পেট্রলের দাম সেখানে বাড়ানো হল ২৪ টাকা (পাকিস্তানি রুপি)। অপরদিকে ডিজেলের দাম এক লাফে বেড়েছে ৫৯ টাকা (পাকিস্তানি রুপি)। বর্তমানে পাকিস্তানের লিটার পিছু পেট্রল এবং ডিজেলের দাম গিয়ে ঠেকেছে যথাক্রমে ২৩৪ এবং ২৬৩ (পাকিস্তানি রুপি)।
এদিকে পেট্রল, ডিজেলের পাশাপাশি পাকিস্তানে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে কেরোসিনের দামও। পাকিস্তানে বর্তমানে প্রতি লিটার কেরোসিন বিকোচ্ছে ২১১.৪৩ টাকা দরে। এই আবহে বর্তমান সরকারের তরফে বিগত ইমরান খান সরকারের নীতিকে দোষারোপ করা হয়েছে। ইসলামাবাদে সাংবাদিক বৈঠকে পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী মিফতা ইসমাইল অভিযোগ করেন, ইমরানের সরকারের নীতির কারণে পাকিস্তানের আজকের এই বেহাল দশা।
মিফতাহ বলেছেন যে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ভর্তুকি দিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে পেট্রলের দাম কমিয়েছিলেন এবং বর্তমান সরকারকে সেই সিদ্ধান্তের খেসারত দিতে হচ্ছে। মন্ত্রী মিফতাহ ইসমাইলের মতে, পাকিস্তান প্রতি লিটারে পেট্রলে ২৪.০৩ টাকা, ডিজেলে ৫৯.১৬ টাকা, কেরোসিন তেলে ৩৯.৪৯ টাকা এবং লাইট ডিজেল তেলে ৩৯.১৬ টাকা ক্ষতি বহন করছে। তিনি বলেন যে মে মাসে জ্বালানি তেল বিক্রির থেকে যে ক্ষতি হয়েছে, তার পরিমাণ ১২০ বিলিয়ন টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে - বর্তমান সরকারের ব্যয়ের চেয়ে তিনগুণ বেশি এই ক্ষতির পরিমাণ।