ভারতের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে প্রধান অন্তরায় রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ বা আরএসএস। শুক্রবার এই ভাষাতেই আরএসএসের ভূমিকা নিয়ে সরব হলেন পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। একইসঙ্গে তালিবান প্রসঙ্গ অবশ্য সন্তর্পণে এড়িয়ে গিয়েছেন ইমরান।
মধ্য ও দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার সম্মেলনে যোগ দিতে তাজিকিস্তানে গিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ভারতের তরফে সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। সম্মেলনের ফাঁকে পাক প্রধানমন্ত্রী ভারত–পাক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক প্রসঙ্গে জানান, ‘আমরা ভারতকে বলতে পারি, পাকিস্তান ভারতের সঙ্গে সভ্য প্রতিবেশী দেশ হিসাবে সহাবস্থান করতে দীর্ঘদিন কয়েকবছর অপেক্ষা করতে প্রস্তুত। কিন্তু আরএসএস এই সম্পর্কের ক্ষেত্রে প্রধান বাঁধা হিসাবে দাঁড়াচ্ছে।’ পাক প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, সন্ত্রাসবাদ ও আলোচনা কি একসঙ্গে চলতে পারে? এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে পাক প্রধানমন্ত্রী আরএসএসের প্রসঙ্গ তুলেছেন।
গত বৃহস্পতিবার আফগানিস্তানের ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লা সালেহ তালিবানিদের সাহায্যের জন্য পাকিস্তানকে কাঠগড়ায় দাঁড় করান। তিনি অভিযোগ করেন, পাক বায়ুসেনা তালিবানিদের সাহায্য করছে। এই প্রসঙ্গে টুইটও করতে দেখা যায় আফগান ভাইস প্রেসিডেন্টকে। টুইটে আফগানিস্তান ভাইস প্রেসিডেন্ট অভিযোগ করেন, স্পিন বোলডাক এলাকা থেকে তালিবানদের সরানোর যদি কোনও প্রক্রিয়া শুরু করা হয়, তাহলে তার জবাব পাক বায়ুসেনা দেবে বলে হুঁশিয়ার দেওয়া হয়েছে। এদিন তালিবান প্রসঙ্গে পাক প্রধানমন্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি প্রসঙ্গ এড়িয়ে যান। যদি আফগান ভাইস প্রেসিডেন্টের বক্তব্য প্রসঙ্গে পাকিস্তান বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, আফগান প্রশাসনের এই ধরনের বক্তব্য দুর্ভাগ্যজনক। এই ধরনের বক্তব্য আসলে আফগানিস্তানে শান্তি স্থাপনের প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটায়।