ধর্ষণ মামলায় জড়িতদের রাসায়নিকের সাহায্যে যৌনাঙ্গ ছেদ করার দাবি জানালেন পাকিস্তানে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। সেই সঙ্গে যৌন হেনস্থাকারীদের জাতীয় রেজিস্টার তৈরির পরিকল্পনাও করেছেন প্রতিবেশী রাষ্ট্রপ্রধান।
সোমবার স্থানীয় টিভি চ্যানেলের সাক্ষাৎকারে ইমরান জানান, বহু দেশের মতো পাকিস্তানেও ধর্ষকদের রাসায়নিকের সাহায্যে লিঙ্গচ্ছেদের প্রথায় তিনি বিশ্বাসী। অন্যথায় অস্ত্রোপচার করেও তাদের যৌনাঙ্গ ছেদ করা যেতে পারে বলে জানিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী। তাঁর মতে, ভবিষ্যতে যাতে এমন ভয়াবহ অপরাধ তারা না ঘটায়, সেই কারণেই যৌন হেনস্থাকারীদের এই শাস্তি দেওয়া জরুরি।
ইমরানের যুক্তি, হত্যার ক্ষেত্রে যেমন প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় ডিগ্রির অপরাধ হিসেবে চিহ্নিতকরণের ব্যবস্থা রয়েছে, ঠিক সে ভাবে যৌন হেনস্থামূলক অপরাধেরও মাত্রা নির্ধারণ করা দরকার।
লাহোর মোটরওয়েতে সাম্প্রতিক এক মহিলার ধর্ষণের প্রেক্ষিতে আলোচনায় ইমরান জানিয়েছেন, ‘যৌন হেনস্থাকাণ্ডে যে সব অপরাধী প্রথম ডিগ্রির অন্তর্ভুক্ত হবে, ভবিষ্যতে এমন অপরাধ যাতে না করতে পারে সে কথা মাথায় রেখে তাদের লিঙ্গচ্ছেদ করা উচিত।’
সাক্ষাৎকারে ধর্ষণ, যৌন হেনস্থা ও শিশু যৌন নিগ্রহে দোষীদের তালিকা তৈরির পক্ষেও সওয়াল করেন পাক প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, যৌন অপরাধ দমনে এই রেজিস্টারই হবে প্রথম পদক্ষেপ। দ্বিতীয় পদক্ষেপ হিসেবে শিশু যৌন নিপীড়ণকারীদের প্রকাশ্যে ফাঁসিকাঠে ঝোলানোর আবেদন জানান ইমরান। তাঁর মতে, শিশু ও তার বাবা-মায়ের জীবন নষ্ট করার জন্য এমনই দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া উচিত অপরাধীকে।
পরে অবশ্য তিনি জানান, আন্তর্জাতিক দরবারে প্রকাশ্যে ফাঁসি কার্যকর করার অনুমোদন না থাকার কারণে তা বাস্তবায়িত করা সম্ভব নয়। সেই সঙ্গে যৌন নিগ্রহ ও শ্লীলতাহানির সব খবর জানা যায় না বলেও আক্ষেপ করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী।