দুদিন আগে মনে হচ্ছিল হয়তো বা গদি থেকে সরে যেতে হবে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে। কিন্তু শনিবারের আস্থাভোটে সহজেই জয় পেলেন তিনি। ৩৪২ সদস্যের নিম্মকক্ষে ১৭৮ ভোট পান ইমরান খান। বিরোধীরা এই আস্থা ভোটে হার অনিবার্য জেনে বয়কট করেন। সেনেটে বিরোধীদের যৌথ প্রার্থীর কাছে অর্থমন্ত্রী আবদুল হাফিজ শেখের হার হওয়ার ফলে নিজে থেকে এই আস্থা ভোট নেন ইমরান খান।
এদিন পাকিস্তান ডেমোক্র্যাটিক মুভমেন্ট- যেটি হল ১১ বিরোধী দলের জোট তারা আস্থা ভোট বয়কট করেন। ইমরানের পিটিআই দলের ১৮০ সদস্য আছে। এদিন ১৭৮ ভোট পায় পিটিআই। তবে এর পরেও বিরোধীরা চান ইমরান খান ইস্তফা দিন ও নতুন করে ভোট হোক। তাদের দাবি বিভিন্ন এজেন্সি চাপ রেখেছে সাংসদদের ওপর। সেই কারণেই এরকম ভোট হয়েছে। Pakistan Muslim League-Nawaz (PML-N) এর নেতা মারিয়াম নওয়াজ বলেন যে ইমরান খানের দিন আর বেশি নয়। পিপিপি-প বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি বলেন যে সেনেটে ইতিমধ্যেই জিতে গিয়েছেন তাঁরা ও তাই এই আস্থাভোটের কোনও অর্থ নেই। বিরোধীদের দাবি ইমরান খানের দলের সাংসদদের ইসলামাবাদে কড়া নজরে রাখা হয়েছিল যাতে তারা কোনও বেচাল না করতে পারে।
জয়ের পরে ইমরান খান বলেন যে পাকিস্তানের উন্নতি কেউ আটকাতে পারবে না। দুর্নীতির বিরুদ্ধে সবাইকে রুখে দাঁড়াতে আর্জি জানান তিনি। এদিন পিপিপি ও পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের সরকারদের পাকিস্তানের সমস্ত সমস্যার জন্য দায়ী করেন। তিনি নির্বাচনী প্রক্রিয়ার পুরো সংস্কার আনার কথাও বলেন।। ইভিএমে ভোট হবে এরপর থেকে সেই কথাও বলেন তিনি। দেশের মানুষ যে মুদ্রাস্ফীতির জন্য সমস্যায় আছেন সেই কথাও মেনে নেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। এই পরিস্থিতি কাটানোর জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে তিনি আশ্বাস দেন। ইমরান খান হলেন দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী যিনি নিজে থেকে আস্থা ভোট নিলেন। এর আগে নওয়াজ শরিফ ১৯৯৩ সালে আস্থা ভোট নেন।