কাশ্মীর নিয়ে ভারতের ওপর কেন সৌদি আরব চাপ সৃষ্টি করছে না, পাকিস্তান বিদেশমন্ত্রী কুরেশির এই বক্তব্যে বিশেষ চটেছে রিয়াধ। এমনই যে সম্পর্কে জোড়াতালি দিতে সৌদি গিয়েও রাজপুত্র সলমনের সঙ্গে দেখা হল না পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারলে বাজওয়ার।
জেনারেল জাভেদ বাজরা ও আইএসআই প্রধান শেষপর্যন্ত উপ প্রতিরক্ষামন্ত্রী শেখ খালিদ বিন সলমেনর সঙ্গে দেখা করেন। শেখ খালিদ হলেন সৌদি রাজপুত্র মহম্মদ বিন সলমনের ছোটো ভাই।
কয়েকদিন আগেই পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি বলেন যে কেন সৌদি আরব গড়িমশি করছে Organisation of Islamic Countries (OIC)-র বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠক ডাকতে যেখানে কাশ্মীর নিয়ে আলোচনা হবে। তিনি বলেছিলেন সৌদিরা না পারলে ইমরান খানকে বলবেন বৈঠক ডাকতে। এই উত্তির জন্যেই খেদ প্রকাশ করেছিলেন বাজওয়া। কিন্তু তাতে চিঁড়ে ভেজেনি।
এই মুহূর্তে ইসলামাবাদে জোর গুজব কুরেশিকে বরখাস্ত করতে চান ইমরান খান। নিজে কিছু না বললেও মানবাধিকার মন্ত্রী শিরীন মাজারি যেভাবে কুরেশিকে এই উক্তির জন্য একহাত নিয়েছেন, এটা সেই দিকেই ইঙ্গিতবাহী বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। রিয়াধে মুখরক্ষার জন্য ওয়াইসির কাশ্মীর সম্বন্ধীয় কন্ট্যাক্ট গোষ্ঠীর বৈঠক ডাকার প্রস্তাব দেন বাজওয়া। সেটাও আদৌ গৃহীত হবে কিনা ঠিক নেই।
এর মধ্যেই ইমরান খান বলেছেন যে পাকিস্তান মুসলমান দেশগুলির মধ্যে কোনও মতাভেদ আনবে না। পাকিস্তান ও সৌদি আরবের মধ্যে সম্পর্কে চিড় ধরেছে, এই কথা অসত্য বলে তিনি দাবি করেন। তবে চিনের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্কই যে ভবিতব্য, সেটিও বলেন তিনি।
যার জন্য এই বিতর্ক, সেই বিদেশমন্ত্রী শাহ মহম্মদ কুরেশির কোনও ভ্রুক্ষেপ নেই। অনেকে বলছেন তাঁর ওপর সেনার আশীর্বাদ আছে, সেই জন্য সৌদিদের বিরুদ্ধে এমন আক্রমণাত্মক ভাবে কথা বলতে পেরেছেন। এর মধ্যে আবার খবর এসেছে যে ইমরানের মুখ্যসচিবকে চড় মেরেছেন কুরেশি কারণ তাঁকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়নি। পাক বিদেশমন্ত্রক অবশ্য পুরো ঘটনার কথা চেপে যাওয়ার চেষ্টা করছে।