সম্প্রতি বাংলাদেশ সেনার উচ্চপদস্থ ৬ কর্তা পাকিস্তান সফরে গিয়েছিলেন। গত ১৭ জানুয়ারি তাঁরা ৬ দিনের সফর সেরে বাংলাদেশে ফিরে এসেছিলেন। আর এরপরই গত ২১ জানুয়ারি পাকিস্তানের থেকে একটি সামরিক কর্তাদের দল আসে বাংলাদেশে। রিপোর্ট অনুযায়ী, পাক আধিকারিকদের চার সদস্যের দলটি ৩ দিনের সফরে এসে পৌঁছায় ঢাকা। তবে সরকারি ভাবে এই সফর নিয়ে মুখ কুলুপ এঁটে বসে আছে ইসলামাবাদ থেকে ঢাকা। আইএসআই-এর আরও একজন উচ্চপদস্থ আধিকারিক ঢাকায় এসেছেন সেই দলের সঙ্গে। তিনি হলেন - আইএসআই-এর ডিরেক্টর জেনারেল অ্যানালিসিস মেজর জেনারেল শহিদ আমির আফসার। এ ছাড়া রয়েছেন মেজর জেনারেল আলম আমির আওয়ান এবং এসএসজি-র কর্তা মুহাম্মদ উসমান লতিফ। তবে সেই দলে আইএসআই প্রধান ছিলেন না বলে দাবি করা হয়েছে বাংলাদেশ সরকারের তরফে। (আরও পড়ুন: ট্রাম্পের বিদেশ সচিবের সঙ্গে বাংলাদেশ নিয়ে কথা জয়শংকরের, চিন্তা বাড়বে ইউনুসের?)
আরও পড়ুন: ঊষা ভান্সের ধর্ম কী? তিনি কোন দেশের নাগরিক? জবাবের খোঁজে হন্যে মার্কিনিরা
আরও পড়ুন: মার্কিন মুলুকে থাকা বেআইনি অভিবাসীদের ফেরত নেবে ভারত? জবাব দিলেন জয়শংকর
এদিকে রিপোর্টে দাবি করা হয়, পাকিস্তানের এই চার সদস্য ইকে৫৮৬ নং আমিরশাহির একটি উড়ানে করে দুবাই থেকে ঢাকায় এসে পৌঁছায়। এই দলটিকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানায় বাংলাদেশের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই-এর এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার মেহদি। রিপোর্ট অনুযায়ী, ঢাকায় পাঁচতারা হোটেল র্যাডিসন ব্লু-তে থাকছে পাকিস্তানের এই চার সেনা কর্তা। পাকিস্তানের এই দলটি নাকি গাজিপুরে অস্ত্র কারখানায় গিয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশি সেনার উচ্চপদস্থ আধইকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছে। (আরও পড়ুন: নাক কাটল পাকিস্তানের, সন্ত্রাসবাদ নিয়ে পর্দা ফাঁস করে রিপোর্ট 'বন্ধু' তালিবানের)
আরও পড়ুন: বিনীত গোয়েল নিজে… আদালতে বিচারকের প্রশ্নে বিস্ফোরক দাবি করেছিল সঞ্জয় রায়
আরও পড়ুন: সেক্সে 'হ্যাঁ' মানে কি গোপন মুহূর্তের ভিডিয়ো করারও সম্মতি? কি বলল হাই কোর্ট?
এর আগে রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, চিনে তৈরি যুদ্ধবিমান কিনতে পাকিস্তানের কাছে আগ্রহণ প্রকাশ করে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ সেনার লেফটেন্যান্ট জেনারেল এসএম কামরুল হাসান সম্প্রতি পাক সেনা প্রধানের সঙ্গে দেখা করে জেএফ-১৭ থান্ডর যুদ্ধবিমান কেনার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন বলে দাবি করা হয়। পাক সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন পাক সফরকালে। সেই ছবি পাক সামরিক বাহিনীর জনসংযোগ বিভাগ প্রকাশ করে দিয়েছিল। এরপরই বাধ্য হয়ে নাকি ঢাকাকে সেই খবরের কথা প্রকাশ করতে হয়েছিল। নয়ত তারা বিষয়টিকে গোপনই রাখতে চাইছিল।