জঙ্গি দমনে ভারত বিরাট পদক্ষেপ করেছে। পহেলগাঁওয়ে হামলার জবাব দিতে ৭ মে মধ্যরাতে ‘অপারেশন সিঁদুর’ অভিযান চালিয়েছে ভারত। সেই অভিযানে পাকিস্তানের সীমায় ঢুকে একাধিক জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভারতীয় সেনা। ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক নিশ্চিত করেছে জঙ্গিদের টার্গেট করে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে। তবে এই হামলার তীব্র নিন্দা করেছে ইসলামাবাদ। এরপরে পাকিস্তানে ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে জরুরি তলব করল ইসলামাবাদ। পাকিস্তান এই অভিযানের পিছনে ভারতের উদ্দেশ্যকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: অপারেশন সিঁদুর কী? কেন এই নাম? সেনা কী জানিয়েছে?
মধ্যরাতে ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্র পাকিস্তানে একাধিক এলাকায় ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি উড়িয়ে দিয়েছে। যারমধ্যে বাহওয়ালপুরে জইশ-ই-মহম্মদ, মুরাক্কায় লস্কর-ই-তৈবা ও হিজবুল মুজাহিদিনর সদর দফতর গুঁড়িয়ে দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজেই এই অপারেশনে নজরদারি চালান।
জানা গিয়েছে, অপারেশন সিঁদুরের পরেই
বুধবার সকালে পাকিস্তানে ভারতীয় দূতাবাসের দায়িত্বে থাকা আধিকারিককে পাক সরকার ডেকে পাঠায়। বিবৃতিতে পাকিস্তান ভারতের এই হামলার নিন্দা করেছে। জানানো হয়েছে, ভারতের এই পদক্ষেপ পাকিস্তানের সার্বভৌমত্বের স্পষ্ট লঙ্ঘন। এই ধরনের পদক্ষেপ জাতিসংঘের সনদ, আন্তর্জাতিক আইন এবং আন্তঃরাষ্ট্রীয় সম্পর্ক নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠিত নিয়মের লঙ্ঘন। এছাড়াও, পাকিস্তান যে শত্রুতাপূর্ণ আচরণ করছে ভারতের সেই যুক্তি ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে। পাকিস্তানের দাবি, বিনা উস্কানিতে ভারত আঘাত হেনেছে। এছাড়াও, জঙ্গি নিহত হওয়ার কথা অস্বীকার করছে পাকিস্তান। ইসলামাবাদের দাবি, নারী ও শিশু সহ বেশ কয়েকজন সাধারণ নাগরিক নিহত হয়েছেন। ইসলামাবাদ এও দাবি করেছে যে ভারতের সামরিক পদক্ষেপ এই অঞ্চলের শান্তির জন্য গুরুতর হুমকি।
উল্লেখ্য, এর আগে পাকিস্তানে ভারতের হাই কমিশনার নিযুক্ত ছিলেন। কিন্তু, ২০১৯ সালে দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষের ফলে দুদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক হ্রাস পায়। ভারত পাকিস্তান থেকে হাই কমিশনারকে সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়। প্রসঙ্গত, বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি সাংবাদিক বৈঠক করে জানান, পহেলগাঁওয়ে হামলার পর ১৫ দিন ধরে পাকিস্তান জঙ্গিদের বিরুদ্ধে কোনওরকমের পদক্ষেপ করেনি। তাই পাক জঙ্গিঘাঁটিতে নিয়ন্ত্রিত হামলা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, জঙ্গিদের জবাব দিতে ভারত নিজের শক্তি প্রয়োগ করেছে।