আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে কড়ক অঞ্চলের তেরি গ্রামে শ্রী পরমহংস জি-এর সমাধিস্থল ও সংলগ্ন কৃষ্ণদ্বার মন্দির সারাইয়ের কাজ সম্পূর্ণ করতে খাইবার পাখতুনওয়া সরকারকে নির্দেশ দিল পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট। গত ৩০ ডিসেম্বর এই দুই হিন্দু তীর্থস্থান ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল ক্ষিপ্ত জনতা।
মন্দিরে হামলার ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি গুলজার আমেদ। তাঁর নির্দেশে মঙ্গলবার, ৫ জানুয়ারি মামলার শুনানি নির্ধারিত হয়। গত সপ্তাহে করাচিতে তাঁকে ঘটনা সম্পর্কে জানিয়েছিলেন পাকিস্তানের সংখ্যালঘু সাংসদ রমেশ কুমার।
এ দিন খাইবার পাখতুনওয়া সরকার এবং আউকাফ দফতরকে অবিলম্বে তীর্থস্থান মেরামতির কাজ শুরু করার এবং দুই সপ্তাহের মধ্যে কাজের অগ্রগতির রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে পাক সুপ্রিম কোর্ট। মেরামতির খরচ মন্দির ধ্বংসকারীদের থেকে নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছে আদালত।
শুধু তাই নয়, পাকিস্তানে হিন্দু মন্দিরের সংখ্যা, আউকাফ দফতরের বেদখল হওয়া জমির পরিমাণ এবং তা রোধ করতে কর্তৃপক্ষ কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে, তা সবিস্তারে জানতে চেয়ে রিপোর্ট তলব করেছে পাক আদালত। উল্লেখ্য, পাকিস্তানের সব হিন্দু মন্দির আউকাফ দফতরের অধীনে পড়ে।
এর আগে, কড়কে হিন্দু মন্দির ধ্বংস নিয়ে পাক সুপ্রিম কোর্টে রিপোর্ট জমা দেয় এক সদস্যের সংখ্যালঘু অধিকার কমিটি। রিপোর্টটি তৈরি করেন প্রাক্তন পুলিশ প্রধান মহম্মদ শোয়েব সাড্ডল। রিপোর্টে মন্দিরে হামলা নিয়ে তদন্তের প্রস্তাব দেওয়া হয়। বলা হয়, কড়কে হিন্দু মন্দির ধ্বংসে মূল ইন্ধন দিয়েছিল প্রধান অভিযুক্ত মৌলবি শরিফ।
ধ্বংসপ্রাপ্ত মন্দিরের জমির স্বাধীনতার সময় থেকে বর্তমান কাল পর্যন্ত ইতিহাস খতিয়ে দেখতে চেয়েছে পাকিস্তানের শীর্ষ আদালত। নথিতে কোনও বিকৃতি ঘটানো হয়েছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখবে আদালত।
পাশাপাশি, পাক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, মন্দিরের ভিতরে কোনও সন্দেহজনক ব্যক্তির প্রবেশ রোধ করতে। নিষেধাজ্ঞা অমান্যকারীর কড়া শাস্তির বিধানও দিয়েছে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট।