মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে এআইএম-১২০ অ্যাডভান্সড মিডিয়াম রেঞ্জ এয়ার-টু-এয়ার মিসাইল (এএমআরএএএম) পেতে পারে পাকিস্তান। মঙ্গলবার এক গণমাধ্যমের এক রিপোর্টে এই সম্ভাবনার কথা দাবি করা হয়েছে। এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের প্রতিবেদন অনুসারে, সম্প্রতি মার্কিন যুদ্ধ বিভাগের একটি অস্ত্র চুক্তির তালিকায় পাকিস্তানও এআইএম-১২০ এএমআরএএএম এর ক্রেতাদের মধ্যে রয়েছে। চুক্তির আওতায় ব্রিটেন, পোল্যান্ড, পাকিস্তান, জার্মানি, ফিনল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, রোমানিয়া, কাতার, ওমান, কোরিয়া, গ্রিস, সুইজারল্যান্ড, পর্তুগাল, সিঙ্গাপুর, নেদারল্যান্ডস, চেক রিপাবলিক, জাপান, স্লোভাকিয়া, ডেনমার্ক, কানাডা, বেলজিয়াম, বাহরাইন, সৌদি আরব, ইতালি, নরওয়ে, স্পেন, কুয়েত, ফিনল্যান্ড, সুইডেন, তাইওয়ান, লিথুয়ানিয়া, ইজরায়েল, বুলগেরিয়া, হাঙ্গেরি এবং তুরস্ক সামরিক সরঞ্জাম কিনতে পারে আমেরিকার থেকে।
এদিকে পাকিস্তানকে কতগুলো নতুন এএমআরএএএম ক্ষেপণাস্ত্র দেওয়া হবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে পাকিস্তান বিমান বাহিনীর এফ-১৬ বহরের আপগ্রেড নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পাকিস্তানের বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল জহির আহমেদ বাবর গত জুলাইয়ে মার্কিন বিদেশ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন বলে দাবি করা হয়েছে। প্রতিরক্ষা প্রকাশনা কুভা অনুসারে, এআইএম-১২০ সি৮ মিসাইল হল এআইএম-১২০ডি-এর একটি রফতানি সংস্করণ।
এদিকে রিপোক্টের মতে, পাকিস্তান বিমান বাহিনী বর্তমানে পুরানো সি৫ সংস্করণের মিসাইল ব্যবহার করে। এর মধ্যে ৫০০টি মিসাইল ২০১০ সালে অধিগ্রহণ করেছিল তারা। এদিকে পাকিস্তানকে মার্কিন মিসাইল বিক্রির এই খবর এমন এক সময়ে সামনে এসেছে যখন সীমান্তে নতুন করে উত্তেজনা সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছে। এদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্কও খুব শক্তিশালী হয়ে উঠছে। বিশেষ করে মে মাসে পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে সংঘাতের পর থেকে পাকিস্তান প্রতিনিয়ত যুক্তরাষ্ট্রের কাছাকাছি আসার চেষ্টা করছে। দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতির জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে কৃতিত্ব দিয়েছে পাকিস্তান। এ ছাড়া ট্রাম্পের জন্য নোবেল শান্তি পুরস্কারের দাবিও জানিয়েছিল পাকিস্তান। দাবি করা হচ্ছে, নিজেদের দেশ থেকে বিরল খনিজ পদার্থও আমেরিকাকে পাঠিয়েছে পাকিস্তান। এদিকে অপারেশন সিঁদুরের সময় ভারতী বিমান বাহিনী একাধিক এফ-১৬ যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেছিল বলে জানা গিয়েছে। এই যুদ্ধবিমানগুলি আমেরিকাই পাকিস্তানকে দিয়েছিল। এই আবহে এফ-১৬ নিয়ে মার্কিন কর্তৃপক্ষকে প্রশ্ন করা হলে তারা কিছু বলতে চায়নি। বরং পাকিস্তানের সঙ্গে এই নিয়ে যোগাযোগ করার কথা বলেছে আমেরিকা।