জি-২০ সামিট। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই মিটিং। এবার ভারত সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেই সামিট হবে কাশ্মীরে। আর ভারতের এই সিদ্ধান্তে কার্যত দিশেহারা অবস্থা পাকিস্তানের। ইতিমধ্যেই এনিয়ে কূটনৈতিক স্তরে যোগাযোগ শুরু করে দিয়েছে পাকিস্তান। এমনটাই সূত্রের খবর। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠতা রয়েছে এমন দেশ যেমন চিন, তুর্কি ও সৌদি আরবকে এই সামিট বয়কট করার ব্যাপারেও তারা আবেদন নিবেদন করা শুরু করে দিয়েছে। পাকিস্তান এখন চাইছে চিন, সৌদি আরবের মতো দেশ যেন এই সামিট বয়কট করে।
এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের খবর অনুসারে ইসলামাবাদ ইতিমধ্যে জি-২০তে আমন্ত্রিত দেশগুলির সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছে। এমনকী ইংল্যান্ড,আমেরিকার মতো দেশের সঙ্গেও পাকিস্তান যোগাযোগ করার চেষ্টা করছে। মূলত ভারতের সিদ্ধান্ত যাতে বাস্তবে ফলপ্রসূ হতে না পারে তার জন্য একেবারে আদাজল খেয়ে ময়দানে নেমে পড়েছে পাকিস্তান।
পাকিস্তানের তরফে মনে করা হচ্ছে, কাশ্মীরের মতো বিতর্কিত এলাকায় এই ধরনের সামিটের আয়োজন করে ভারত বোঝাতে চাইছে সবকিছু ঠিক আছে। কোথাও কোনও সমস্যা নেই। আর এটা ভেবেই কার্যত রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছে পাকিস্তানের। এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের।
বিদেশ দফতর সূত্রে খবর, ২০২২এর ১ ডিসেম্বর থেকে ভারত প্রথম জি-২০ প্রেসিডেন্সির দায়িত্ব নেবে। এরপর ২০২৩ সালে জি-২০ সামিটের আয়োজন করবে ভারত। প্রসঙ্গত গত মার্চ মাসে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ কনফারেন্সের আয়োজন করা হয়েছিল কাশ্মীরে। তখন ৩৬টি দেশের প্রতিনিধিরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।