অর্থনৈতিক ভাবে ভেঙে পড়ায় নাজেহাল অবস্থা। এরই মাঝে ফের একবার পাক প্রধানমন্ত্রীর গলায় কাশ্মীর ইস্যু। দ্বিপাক্ষিক ইস্যুতে মধ্যস্থতার জন্য সরাসরি সংযুক্ত আরব আমিরাতের দ্বারস্থ শেহবাজ শরিফ। ভারতের উদ্দেশে শান্তি বার্তা পাঠিয়েও কাশ্মীর নিয়ে 'খোঁচা' দেওয়ার স্বভাব থেকে বের হতে পারেননি শেহবাজ। কাশ্মীর ইস্যুকে 'জ্বলন্ত ইস্যু' বলে আখ্যা দিয়েছেন শেহবাজ। পাশাপাশি ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার নিয়ে নিজের অসন্তোষের কথা প্রকাশ করেন তিনি। পাশাপাশি ফের একবার 'সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার' নিয়ে অভিযোগ করেন তিনি। এদিকে তাঁর বার্তা, ভারতের সঙ্গে আর যুদ্ধ চায় না পাকিস্তান। (আরও পড়ুন: উত্তরাখণ্ড থেকে মিলেছে অস্ত্র, জাহাঙ্গিরপুরী ছকে যুক্ত আরও ৫, খোঁজে দিল্লি পুলিশ)
দুবাই ভিত্তিক আরবি নিউজ টেলিভিশন চ্যানেল আল আরাবিয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শেহবাজ বলেন, 'আমাদের শান্তিতে থাকতে হলে এবং উন্নতি বজায় রাখতে হলে একে অপরের সাথে ঝগড়া করা বন্ধ করতে হবে। পাশাপাশি সময় এবং সম্পদ নষ্ট করা থেকেও বিরত থাকতে হবে।' এদিকে ফের একবার ভারতের বিরুদ্ধে জম্মু ও কাশ্মীরে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ আনেন শেহবাজ। তাঁর কথায়, 'এটা বন্ধ করতে হবে।' তিনি এও বলেছেন, 'ভারতের সঙ্গে তিনটি যুদ্ধে শিক্ষা হয়েছে পাকিস্তানের।' তিনি বলেন, 'ভারতের সঙ্গে এই তিন যুদ্ধের পর থেকেই দেশে অতিরিক্ত দুর্ভোগ, দারিদ্র্য এবং বেকারত্ব দেখা গিয়েছে।'
কাশ্মীর ইস্যুতে শেহবাজ বলেন, 'ভারতের সংবিধানে কাশ্মীরিদের স্বায়ত্তশাসনের যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল তা বাতিল করেছে। তারা সংবিধানের ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করেছে। ২০১৯ সালের অগস্ট থেকে সেখানে সংখ্যালঘুদের সঙ্গে চরম অপব্যবহার করা হচ্ছে। আমি বিশদে ঢুকতে চাইছি না। তবে এটা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। যাতে বিশ্বব্যাপী একটি বার্তা যেতে পারে যে ভারত আলোচনার জন্য প্রস্তুত।' শেহবাজ শরিফ এরপর সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের কাছে আবেদন রাখেন যাতে 'দুই দেশকে একত্রিত করতে' সাহায্য করেন তিনি। তিনি বলেন, 'আমি মহম্মদ বিন জায়েদকে অনুরোধ করেছি – তিনি পাকিস্তানের ভাই এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত একটি ভ্রাতৃপ্রতিম দেশ। ভারতের সাথেও তার সুসম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশকে আলোচনার টেবিলে আনতে তিনি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন।'
ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ প্রসঙ্গে পাক প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'ভারতের সাথে আমাদের এখনও পর্যন্ত তিনটি যুদ্ধ হয়েছে এবং এর থেকে শুধুমাত্র জনগণের অতিরিক্ত দুর্দশা, দারিদ্র্য এবং বেকারত্ব বেড়েছে। আমরা এখন আমাদের শিক্ষা পেয়ে গিয়েছি। আমরা শান্তিতে থাকতে চাই। তবে এর জন্য আমাদের আসল সমস্যাগুলি সমাধান করতে হবে।' তিনি আরও বলেন, 'ঈশ্বর না করুক, আমাদের মধ্যে যদি ফের যুদ্ধ হয়, তাহলে তা নিয়ে বলার জন্য কে বেঁচে থাকবে?' তিনি মনে করান যে বর্তমানে দুই দেশই পরমাণু শক্তিধর।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup