কাশ্মীর ইস্যুতে তালিবানের সাহায্য নেবে পাকিস্তান। একটি টেলিভিশন শো'তে পাকিস্তানের শাসক দল তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) এক নেত্রী একথা বলেছেন বলে জানিয়েছে সংবাদসংস্থা এএনআই।
ওই সংবাদসংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দলের নেত্রী নীলম ইরশাদ শেখ দাবি করেছেন যে কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তানের হাত ধরবে বলে জানিয়েছে তালিবান। ওই শো'তে নীলমের বক্তব্যকে উদ্ধৃত করে এএনআই বলেছে, ‘তালিবান বলেছে যে ওরা আমাদের সঙ্গে আছে এবং কাশ্মীরে আমাদের সাহায্য করবে।’
এএনআইয়ের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, নীলমের প্রতিক্রিয়া কিছুটা চমকে যান টেলিভিশন শো'র অ্যাঙ্করও। তিনি বলেন, ‘ম্যাডাম, আপনি কী বলেছেন, সেটা আদৌও বুঝতে পারছেন? আপনার কোনও ধারণা নেই যে আপনি কী কথা বলেছেন। এই শো বিশ্বজুড়ে সম্প্রচারিত হবে। ভারতেও দেখা যাবে।’ তারপরও নীলম নিজের মন্তব্যে অনড় ছিলেন বলে এএনআইয়ের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। পাকিস্তানের শাসক দলের নেত্রীকে উদ্ধৃত করে এএনআই বলেছে, ‘ওদের সঙ্গে বাজে ব্যবহার হওয়ায় ওরা আমাদের সাহায্য করবে।’
সম্প্রতি সূত্র উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা এএনআই জানায়, কাশ্মীর ইস্যুকে ‘দ্বিপাক্ষিক এবং অভ্যন্তরীণ’ বিষয় হিসেবে উল্লেখ করেছে তালিবান। কাশ্মীরে নাকি তালিবান নজর দেবে না বলে আধিকারিকদের উদ্ধৃত করে জানায় এএনআই। উচ্চপদস্থ সূত্র উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা এএনআই জানায়, আফগানিস্তানে কিছুটা অস্তিত্ব আছে পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইবা এবং লস্কর-ই-জঙ্গভির। যে সংগঠনগুলি তালিবানকে যুদ্ধে সাহায্য করেছে। তালিবানের পাশাপাশি কয়েকটি গ্রাম এবং কাবুলের একাংশে চেকপোস্ট তৈরি করেছে। অতীতেও তালিবানি শাসনের সময় আফগানিস্তানে পাক জঙ্গিগোষ্ঠীর ঘাঁটি ছিল। কান্দাহার বিমান ছিনতাইয়ের ঘটনাও তালিবানের ছত্রচ্ছায়ায় হয়েছিল। সেই পরিস্থিতিতে আফগানিস্তান তালিবানের দখলে চলে যাওয়ায় কিছুটা উদ্বেগে আছে ভারত। বিশেষত তালিবানের মদতে জম্মু ও কাশ্মীরে পাক জঙ্গি সংগঠনগুলি কার্যকলাপ বাড়ানোর চেষ্টা করবে কিনা, তা নিয়ে একটি মহলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
এক সূত্রকে উদ্ধৃত করে এএনআই বলে, ‘আফগানিস্তান বিশ্বের প্রথম ইসলামিক সন্ত্রাসবাদের কেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে বলে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। আমেরিকা যে অস্ত্র সরবরাহ করেছিল এবং তিন লাখের বেশি আফগান সেনা ও বায়ুসেনার অস্ত্রের ব্যবহারের সুযোগও আছে।’ পাশাপাশি ওই সূত্রকে উদ্ধৃত করে এএনআই জানিয়েছে, পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের সঙ্গে তালিবানের ভালো সম্পর্ক আছে। তালিবানকে প্রভাবিত করারও চেষ্টা করবে। তবে এই মুহূর্তে তালিবানের যা অবস্থান এবং যা শক্তি আছে, তাতে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা তেমন নাক গলাতে পারবে না।