দিল্লিতে অবস্থিত পাকিস্তানি হাইকমিশন তাদের স্কুল বন্ধ করে দিতে বাধ্য হল। বিগত তিন বছর ধরে হাইকমিশনের সেই স্কুলের কর্মী এবং শিক্ষকদের বেতন দিতে পারেনি পাকিস্তানি সরকার। এই আবহে অর্থের অভাবে শেষ পর্যন্ত সেই স্কুল বন্ধ করে দিতে বাধ্য হল পাক হাইকমিশন। দিল্লিতে নিযুক্ত পাকিস্তানি কর্মীদের সন্তানরা সেই স্কুলে পড়ত। বারংবার পাক বিদেশ মন্ত্রকের কাছে টাকা চেওয়া পাওয়া যায়নি। এই পরিস্থিতিতে স্কুল খোলা রাখার কোনও বিকল্প উপায় ছিল না। অবশ্য শুধু ভারত নয়, অন্যান্য দেশেও পাকিস্তানি দূতাবাসগুলির পরিস্থিতি করুণ। এর আগে আমেরিকায় অবস্থিত পাকিস্তানি দূতাবাস তাদের একটি বিল্ডিং বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছিল।
এর আগে ইমরান খানের জমানায় কার্যত বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন সার্বিয়ায় নিযুক্ত পাক দূতাবাসের কর্মীরা। এক ভিডিয়ো পোস্ট করে ইসলামাবাদকে বার্তাও পাঠিয়েছেন সরকারি কর্মীরা। পাকিস্তান দূতাবাস সার্বিয়ার অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডেল থেকে ভিডিয়োটি পোস্ট করা হয়েছিল। তাতে পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, গত তিন মাস ধরে বেতন মেলেনি; আর কতদিন সরকারি কর্মকর্তারা চুপ থাকবে বলে মনে করছে সরকার?
গানের মাধ্যমে সরকারি কর্মীরা প্রশ্ন তুলেছিলেন, ‘যখন তিন মাস ধরে আমরা বেতন পাইনি, তখন আর কতদিন চুপ থাকব বলে সরকার মনে করেছিল?’ গানের মাধ্যমেই দূতাবাস কর্মীরা বলেছিল যে তারা গত তিন মাস ধরে বিনা বেতনে কাজ করছে এবং তাদের সন্তানদের স্কুলের ফি দিতে না পারার কারণে তাদের স্কুল ছাড়তে বাধ্য করা হচ্ছে। ভিডিয়ো বার্তার গানের কথা, ‘যদি সাবানের দাম বাড়ে, তাহলে স্নান করো না, যদি গমের দাম বেড়ে যায় তো খেয়ো না।’
এদিকে সম্প্রতি আমেরিকায় থাকা পাকিস্তানের একটি পুরানো দূতাবাসের সম্পত্তি নিলাম করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সেই নিলামে অংশ নেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত এবং ইহুদিরা। ওয়াসিংটনে আর স্ট্রিটের সেই বিল্ডিংটি কিনতে একটি ইহুদি গ্রুপ ৬.৮ মিলিয়ন ডলার দেওয়ার প্রস্তাব করেছিল। অন্যদিকে একটি ভারতীয় সংস্থা ৫ মিলিয়ন ডলার দাম দিতে চয়েছিল বিল্ডিংটির জন্য।