পাক গুপ্তচর সংস্থার নয়া কৌশল! সূত্রের দাবি, আইএসআই বেছে বেছে মাদকাসক্ত ব্যক্তিদের ভারতে ঢুকিয়ে দিচ্ছে। যাতে ভারত সরকার তাদের ধরে জেলে পোরে এবং সেই 'পাকিস্তানি এজেন্ট'রা আইএসআই-এর সন্ত্রাসবার্তা ভারতের বিভিন্ন জেলে বন্দি জঙ্গিদের কাছে পৌঁছে দেয়!
সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে দাবি, ভারতের আধিকারিক পর্যায় থেকেই এই খবর প্রকাশ্যে এসেছে। ওই সূত্রের দাবি, চলতি বছর জুলাই থেকে এমন অন্তত ১০টি ঘটনা সামনে এসেছে। যেখানে অনুপ্রবেশের অভিযোগে কোনও না কোনও পাক নাগরিককে গ্রেফতার করে জেলে ভরা হয়েছে।
তথ্য বলছে, ধৃত এই পাক নাগরিকরা পাক অধিকৃত কাশ্মীর-সহ অন্যান্য এলাকা থেকে ভারতে ঢুকেছে। এবং ভারতীয় ভূখণ্ডে গ্রেফতার হওয়ার পর তাদের মূলত - জম্মু, পঞ্জাব ও রাজস্থানের বিভিন্ন সংশোধনাগারে পাঠানো হয়েছে।
ভারতের সংশ্লিষ্ট দফতরের আধিকারিকরা বলছেন, এই পাক নাগরিকদের অনেকটা 'ক্যুরিয়ার' বা 'পার্সেল'-এর মতো করে ব্যবহার করছে আইএসআই। তাদের মাধ্যমে অত্যন্ত গোপন ও গুরুত্বপূর্ণ সন্ত্রাসবার্তা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে ভারতের জেলবন্দি জঙ্গিদের কাছে।
এই ব্যক্তিদের জেরা করে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। যেমন - ভারতে পাঠানোর আগে তাদের রীতিমতো প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। যাতে তারা ভারতের গোয়েন্দা এবং নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদের মোকাবিলা করতে পারে। এবং নিজেদের মানসিক রোগী হিসাবে প্রমাণ করতে পারে।
জেরার মুখে এই ব্যক্তিদের আচরণ অত্যন্ত সন্দেহজনক বলে মনে করছেন ভারতীয় গোয়েন্দারা। ধৃতদের কথাবার্তা শুনেই বোঝা যাচ্ছে, তারা নির্দিষ্ট কিছু বিষয় এড়িয়ে যাচ্ছে এবং তারা বিশেষ কিছু উদ্দেশ্যে নিয়েই ভারতে ঢুকেছে।
ভারতীয় গোয়েন্দাদের বক্তব্য, প্রযুক্তির সাহায্য় নিয়ে সন্ত্রাসের ছক কষলে একটা সময় তা ঠিকই ধরা পড়ে। কিন্তু, এভাবে যদি জেলবন্দি জঙ্গিদের বার্তা পাঠানো হয়, তাহলে ধরা পড়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায়। এটা আসলে আইএসআই-এর নতুন মোডাস অপারেন্ডি।
আরও একটি লক্ষ্যণীয় বিষয় হল - এই ধরনের অনুপ্রবেশ ঘটাতে বহু ক্ষেত্রে মহিলা ও নাবালকদের ব্যবহার করা হচ্ছে। যেমন - গত জুলাই মাসে পাকিস্তান থেকে ভারতে ঢুকে পড়া এক নাবালককে পঞ্জাবে পাকড়াও করা হয়।
সেই নাবালককে তল্লাশি করে তার কাছ থেকে একটি ভেজা, স্যাঁতস্যাঁতে কাগজ উদ্ধার করা হয়। যাতে আরবি ভাষায় কিছু লেখা ছিল। কিন্তু, ভিজে যাওয়ায় সেটি পাঠযোগ্য ছিল না।