আস্থা ভোটে হেরে গদিচ্যুত হয়েছেন ইমরান খান। এই আবহে খুব সম্ভবত পাকিস্তানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন পাকিস্তান মুসলিম লিগ নাওয়াজের প্রধান তথা পাক পঞ্জাব প্রদেশের তিন বারের মুখ্যমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। রবিবার ভোর রাতে আস্থা ভোটের ফলাফল প্রকাশ হতেই যখন ইমরান খানের সরকারকে বরখাস্ত করা হয়, তারপর স্পিকারের চেয়ারে থাকা আয়াজ সাদিক শেহবাজকে তাঁর বক্তব্য পেশ করতে বলেন। তখন শেহবাজ বলেন, ‘প্রতিশোধ নেব না। আই আইনের পথে চলবে।’
শেহবাদ শরিফ বলেন, ‘আমরা নিরপরাধ মানুষকে জেলে পাঠাব না। আমরা প্রতিশোধ নেব না। কিন্তু আইন আইনের পথে হাঁটবে এবং ন্যায়বিচার হবে। পাকিস্তানে নতুন ভোর আসতে চলেছে।’ শেহবাজ বলেন, ‘কোটি কোটি পাকিস্তানিদের প্রার্থনা সর্বশক্তিমান শুনেছেন। ঐক্যবদ্ধ বিরোধী দলের সকল সদস্য আল্লাহকে ধন্যবাদ জানাচ্ছে।’ উল্লেখ্য, বিরোধীদের ঐক্যবদ্ধ করা থেকে অ্যাসেম্বলিতে অনাস্থা প্রস্তাব পেশ, এই সব কিছুতেই নেতৃত্ব দিয়েছেন শেহবাজ। বিরোধীরা তাঁকেই ঐক্যবদ্ধ ভাবে সোমবার পাকিস্তানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেছে নিতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, গতকাল পাকিস্তানের সময় রাত প্রায় ১১টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে আস্থা ভোটের প্রক্রিয়া শুরু হয়নি। তবে চরম নাটকীয় ভাবে এরপর স্পিকার আসাদ কাইসার এবং ডেপুটি স্পিকার কাসিম সুরি পদত্যাগ করেন। এরপর পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির চেয়ার প্যানেলের সদস্য আয়াজ সাদিক স্পিকারের দায়িত্ব সামলান। মধ্যরাতের আগেই তিনি আস্থা ভোটের প্রক্রিয়া শুরু করেন। এরই মাঝে মধ্যরাতে দুই মিনিটের জন্য অধিবেশন মুলতুবি করে রবিবার ফের শুরু হয় নয়া অধিবেশন। এরপর রবিবার ভোর রাতে ১৭৪-০ ভোটের ব্যবধানে ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব গৃহীত হয়।