পাকিস্তানের এক প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমে এবার প্রকাশিত হল ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসাবাক্য! শুনে অবাক হলেও, এটাই সত্যি ঘটনা। যে পাকিস্তানের তরফে এতকাল বিভিন্ন ধরণের ভারত বিরোধিতা দেখা গিয়েছে, সেই পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানও এক জনসভায় ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের ভাষণ শুনিয়েছিলেন। এদিকে, সেই পাকিস্তানের বর্তমান বিদেশমন্ত্রী ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে কয়েকদিন আগেই আপত্তিকর মন্তব্য করেন। এরপর পাকিস্তানের মিডিয়ায় মোদী সম্পর্কে কোন বার্তা এল দেখা যাক।
পাকিস্তানের নামী সংবাদপত্র ‘দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন’-এ এক আর্টিক্যালে লেখা হয়েছে, ‘ প্রধানমন্ত্রী (ভারতীয়) পৌঁছে দিয়েছেন ভারতকে এমন একটি পয়েন্টে, যেখানে দেশটি একটি জাল বিস্তার করে প্রভাবিত করছে চারপাশের অনেক কিছুকে।’ বিশ্বে ভারতের ক্রমাগত দাপটকে কেন্দ্র করে এই বিশেষ সম্পাদকীয়ধর্মী লেখা প্রকাশিত হয়েছে পাকিস্তানের মিডিয়ায়। সেখানে বলা হয়েছে, ‘ভারতের বিদেশ নীতি খুব সুন্দর করে কৌশলগতভাবে ধরে রাখা হচ্ছে, আর জিডিপি ৩ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারে ছড়িয়েছে গিয়েছে। ’ পাকিস্তানের নামী রাজনৈতিক বিশ্লেষক শাহজাদ চৌধুরী ওই আর্টিক্যালে লিখছেন, ভারত এখন বিনিয়োগকারীদের সবচেয়ে পছন্দের ডেস্টিনেশন। তিনি বারবার তাঁর লেখায় তুলে ধরেছেন ভারতের বিদেশনীতির কথা। তিনি লিখছেন, নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারত তার বিদেশনীতির সবচেয়ে ভালো সময়ে দেখছে। তিনি লিখছেন, ভারত বিদেশ নীতির ক্ষেত্রে নিজেকে সুচারুভাবে প্রতিষ্ঠা করেছে। শাহজাদ চৌধুরীর লেখায় উঠে এসেছে, ১.৪ বিলিয়ন মানুষের বসবাসের ভারতে যেভাবে চাষাবাদ হচ্ছে, তা ‘বিশ্বের সেরাদের সঙ্গে তুলনীয়’।
শাহজাদ চৌধুরী পরিসংখ্যান পেশ করে তুলে ধরেন যে, সময়ের পথে আসা নানান প্রতিকূলতাকে ছাপিয়েও ভারত বিভিন্ন দিক থেকে নিজেকে পোক্তভাবে তুলে ধরেছে। এছাড়াও দেশে গণতন্ত্র ধরে রাখতে যেভাবে ৭৫ বছরের স্বাধীনতা পাওয়া দেশটি সমর্থ হয়েছে, তার বার্তা বারবার দিয়েছেন শাহজাদ চৌধুরী। তিনি লিখছেন, ‘ মোদী ভারতকে ব্র্যান্ড হিসাবে তুলে ধরতে যা করেছেন, তা তাঁর আগে কেউ সেভাবে করতে পারেনি। ’
এর আগে ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে ইমরান খান ভারতের বিদেশনীতি নিয়ে প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ভারত যেভাবে রাশিয়া থেকে তেল আমদানি করছে, সেদিকে তাকিয়ে পাকিস্তানের দিকে তাকালে দেখা যাবে, পাকিস্তান আজও পশ্চিমের দাস হয়ে রয়েছে। তিনি অভিযোগ তোলেন যে, পাকিস্তান কোনও সাহসী সিদ্ধান্ত নিতে অপারগ।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup