একদিকে যখন প্রতিবেশী মালদ্বীপের নাগরিকদের উহান থেকে উদ্ধার করায় ভারতের ধন্য ধন্য করছে দ্বীপরাষ্ট্রটি, তখনই নিজের দেশের নাগরিকদের ধিক্কারের মুখে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। শনিবার গভীর রাতে উহানে মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলে ভারতীয় ছাত্রদের আনতে যায় একটি বাস। হস্টেলের বারান্দায় দাঁড়িয়ে অসহায়ের মতো দেখতে হয় পাকিস্তানি ছাত্রদের। এক ছাত্রকে বলতে শোনা যায়, নিজের নাগরিকদের কী ভাবে উদ্ধার করতে হয় ভারতের কাছ থেকে শিখুন ইমরান খান।
বলে রাখি, রবিবার চিনের করোনাভাইরাস কবলিত উহান শহর থেকে ৩২৩ জন ভারতীয় ও ৭ জন মালদ্বীপের নাগরিককে উদ্ধার করে এনেছে এয়ার ইন্ডিয়ার বিশেষ বিমান। দিল্লিতে অবতরণের পর তাদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে হরিয়ানায় তৈরি আইসোলেশন সেন্টারে। কিন্তু পাকিস্তানি নাগরিকরা পড়ে রয়েছেন উহানেই।
সেদেশের সরাকারের তরফে জানানো হয়েছে, পাকিস্তানে করোনাভাইরাসের চিকিৎসা করার মতো পরিকাঠামো নেই। তাই চিনে অবস্থানকারী পাকিস্তানিদের দেশে ফেরানো সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে পাকিস্তানে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকবে। বদলে চিনে কোনও পাকিস্তানি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করবে সরকার।
প্রশ্ন উঠছে, বাংলাদেশ তার নাগরিকদের চিন থেকে ফেরাতে পারলে পাকিস্তান পারছে না কেন? তাহলে কি পাকিস্থানের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার দশা বাংলাদেশের থেকেও খারাপ?