রাজস্থানের যুবকের প্রেমে পড়ে ভারতে চলে এলেন পাকিস্তানের যুবতী। শুধু তাই নয়, 'হিন্দুস্তান টাইমস' গ্রুপের 'লাইভ হিন্দুস্তান'-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইতিমধ্যে নিকাহও সেরে ফেলেছেন তাঁরা। প্রাথমিকভাবে ভিডিয়ো কলে দু'জনে বিয়ে করেন। পরবর্তীতে সৌদি আরবের মক্কায় গিয়ে নিকাহ সেরে ফেলেন তাঁরা। আর তারপর ভারতে চলে আসেন ওই পাকিস্তানি যুবতী। ইতিমধ্যে সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন রাজস্থানের যুবকের স্ত্রী। তিনি দাবি করেছেন যে যুবকের সঙ্গে তাঁর বিবাহ-বিচ্ছেদ হয়নি। তাঁদের দুই সন্তানও আছে। আর ওই পাকিস্তানি যুবতী আদতে তথ্যপাচারকারীও হতে পারে। তাই পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করে দেখা হোক।
রহমান ও মহবীশের 'প্রেম' কাহিনী
'লাইভ হিন্দুস্তান'-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাজস্থানের চুরু জেলার বাসিন্দা হলেন রহমান। আপাতত কুয়েতে কর্মরত আছেন। তাঁর প্রেমে যে পাকিস্তানি যুবতী পড়ে গিয়েছেন, তাঁর নাম হল মহবীশ (২৫ বছর)। দু'জনে সৌদিতে বিয়ে করার পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় রিল পোস্ট করেন। তারপর ৪৫ দিনের টুরিস্ট ভিসা নিয়ে ভারতে চলে আসেন মহবীশ। আটারি দিয়ে সীমান্ত পার করে সটান চুরুতে এসে হাজির হন যুবতী।
সেই ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে যায়। 'লাইভ হিন্দুস্তান'-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, আচমকা পাকিস্তানি মহিলা চলে আসায় রীতিমতো শোরগোল শুরু হয়ে যায় এলাকায়। বিশেষত চুরু থেকে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের দূরত্ব বেশি নয়। তাই আরও পুলিশও তৎপর হয়ে ওঠে। বিভিন্ন এজেন্সিও সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে 'লাইভ হিন্দুস্তান'-র প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
থানায় অভিযোগ দায়ের স্ত্রী'র
মহবীশ চুরুতে আসার পরই থানার দ্বারস্থ হয়েছেন রহমানের স্ত্রী ফরিদা। পাকিস্তানি যুবতীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। ফরিদার বক্তব্য, ওই পাকিস্তানি যুবতী কোনও তথ্যপাচারের জন্যও আসতে পারেন বা গোয়েন্দা হতে পারেন। তাই একেবারে খুঁটিনাটি তদন্ত করে দেখা হোক পাকিস্তানি যুবতীর বিষয়।
'লাইভ হিন্দুস্তান'-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, সেইসঙ্গে ফরিদা জানিয়েছেন যে রহমানের সঙ্গে তাঁর 'তালাক' হয়নি। তাই দ্বিতীয় বিয়ের কোনও প্রশ্নই ওঠে না। রহমান যদি পাকিস্তানি যুবতীকে সত্যি বিয়ে করে থাকেন, তাহলে আইনি পথে হাঁটবেন। আইনি লড়াই চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন ফরিদা। যদিও বিষয়টি নিয়ে রহমান বা পাকিস্তানি যুবতী কোনও মন্তব্য করেননি। পুলিশের তরফেও কোনও মন্তব্য করা হয়নি।