ফেসবুকে প্রেম হতেই পারে। কিন্তু যখন দু'জন দুই দেশের বাসিন্দা হন? তাও আবার পাকিস্তান ও ভারতের?
পাকিস্তানের এক যুবতী ফেসবুকে এক ভারতীয় যুবকের প্রেমে পড়েছেন। কিন্তু বাধা দুই দেশের সীমান্ত। তাই পাকিস্তানের সুমন রন্তিলাল ভারতে এসে প্রেমিককে বিয়ে করতে মোদী সরকারের বিশেষ অনুমতি চেয়েছেন।
টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, সুমন পাকিস্তানের করাচিতে শিক্ষিকা। 2019 সালের সেপ্টেম্বরে, ফেসবুকে ভারতের গুরুদাসপুরের অমিত শর্মার সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়।
শুরু হয় মেসেঞ্জারে টুকটাক কথা, পরস্পরের ছবিতে রিয়্যাকশান। তাঁদের বন্ধুত্ব শীঘ্রই প্রেমে পরিণত হয়। তবে এখনও পর্যন্ত তাঁদের কখনও সামনাসামনি দেখা হয়নি। পুরোটাই মেসেঞ্জার, ফোন ও ভিডিয়ো কলেই সীমাবদ্ধ থেকেছে। তবে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে দুজনেই একে অপরকে ভালোবেসেছেন। আর সেই কারণেই তাঁরা বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে সুমন করাচি থেকে ফোনে কথা বলেন। তিনি জানান, 'আমি ভারতে গিয়ে অমিতের সঙ্গে সারাজীবন কাটাতে চাই। গত বছরের মার্চ থেকে করোনার কারণে দুই দেশের মধ্যে যাত্রী চলাচল বন্ধ রয়েছে। এ কারণেই এখনও ভিসা পাইনি।'
গুরুদাসপুরের এক বেসরকারি সংস্থায় সেলস ডিরেক্টর হিসাবে কর্মরত অমিত। তিনি জানান, 'প্রথম যেদিন ফেসবুকে তাঁর সঙ্গে সুমনের কথা হয়, তা আজও স্পষ্ট মনে আছে। ফেসবুকে পাকিস্তানের করাচিতে জন্মাষ্টমীর পালনের একটি ছবি আপলোড করেছিল সুমন। তখনই আমি ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট দিয়েছিলাম। এরপর ধীরে ধীরে মেসেঞ্জারে আমাদের কথা শুরু হয়। ফোন নম্বর আদান প্রদানও হয়। নভেম্বরে, আমি ওকে বিয়ের প্রস্তাব দিই। সৌভাগ্যবশত ও হ্যাঁ বলেছে। আশা করি খুব শীঘ্রই আমরা নতুন জীবন শুরু করতে পারব।'