পাকিস্তানের খাইবার পাথতুনওয়া অঞ্চলের কড়ক জেলায় হিন্দু মন্দির পোড়ানোর ঘটনায় বৃহস্পতিবার স্বতঃপ্রণোদিত অভিযোগ দায়ের করলেন প্রধান পাক বিচারপতি গুলজার আহমেদ। আগামী ৫ জানুয়রি মামলার শুনানি স্থির করেছে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট।
বুধবার হিন্দু মন্দির জ্বালিয়ে দেওয়ার ঘটনায় রাতভর তল্লাশি চালিয়ে এখনও পর্যন্ত মোট ১৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ। মন্দির পোড়ানোর ঘটনায় জড়িত ছাড়াও খোঁজ করা হচ্ছে তাদের ইন্ধনদাতাদের।
এ দিন করাচিতে সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সাংসদ রমেশ কুমারের থেকে অভিযোগ পাওয়ার পরে এই বিষয়ে পদক্ষেপ করেন পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি স্বয়ং।
গতকাল কড়ক জেলার তেরি গ্রামের শ্রী পরমহংসজি মহারাজের সমাধি এবং কৃষ্ণদ্বার মন্দিরে ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেয় উন্মত্ত জনতা। তাদের অভিযোগ, অবৈধ ভাবে অতিরিক্ত জমি দখল করেছে মন্দির কর্তৃপক্ষ।
এর আগে ১৯৯৭ সালে এই মন্দিরের উপরে প্রথম আঘাত হানা হয়। পরে ২০১৫ সালে সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপে মন্দির পুনর্নির্মাণে রাজি হয় স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। তবে নতুন করে মন্দির তৈরি করা হলেও ঝামেলা লাগে দেবোত্তর সম্পত্তি হিসেবে মন্দির কর্তৃপক্ষকে দান করা জমির দখল নিয়ে। তার জেরে স্থানীয় মৌলবীদের সঙ্গে মতবিরোধ শুরু হয় মন্দির কর্তৃপক্ষের।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, বুধবার রাতে কয়েকশো স্থানীয় বাসিন্দা মন্দির চত্বরে ঢুকে ভাঙচুর চালানোর পরে আগুন ধরিয়ে দেয়। অভিযোগ, খবর পাওয়ার পরেও বেশ কয়েক ঘণ্টা ঘটনাস্থলে দেখাযায়নি পুলিশকে।
ঘটনায় পাকিস্তানের সংখ্যালঘুদফতরের মন্ত্রী নুর হক কাদরি অভিযোগ করেন, সাম্প্রদায়িক সংহতি নষ্ট করতে সুপরিকল্পিত ভাবে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। টুইটারে তিনি লেখেন, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ধর্মস্থান আক্রমণ করা ইসলাম বিরোধী। তাঁর মতে, ‘সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় স্বাধীনতা আমাদের আধ্যাত্মিক, সাংবিধানিক, নৈতিক ও জাতীয় দায়িত্ব।’