ভেঙে গেল পাকিস্তানের যাবতীয় রেকর্ড। গত অর্থবর্ষে (২০২০-২১) বিদেশি ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে নয়া নজির গড়ল ইমরান খান সরকার। সরকারের একটি নয়া একটি রিপোর্ট উদ্ধৃত করে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমের প্রকাশিত প্রতিবেদন তুলে ধরে এমনই অস্বস্তিকর তথ্য জানিয়েছে সংবাদসংস্থা এএনআই।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের প্রতিবেদন উদ্ধৃত করে এএনআই জানিয়েছে, গত তিন বছরে পাকিস্তানের বিদেশি ঋণের বোঝা ক্রমশ বেড়েছে। আপাতত পাকিস্তানের উপর ৮৫.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিদেশি ঋণের খাঁড়া ঝুলছে। গত তিন বছরে সেই ঋণের বোঝা বেড়েছে ৩৫.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। সেই পরিস্থিতিতেও বিদেশি ঋণ নেওয়ার রেকর্ড গড়েছে ইমরানের সরকার। পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়কের শাসনে গত অর্থবর্ষে ১৫.৩২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ নিয়েছে। এতদিন একটি অর্থবর্ষে সর্বোচ্চ বিদেশি ঋণের পরিমাণ ১০.৪৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছিল বলে ওই রিপোর্টে জানানো হয়েছে।
ইমরানের অর্থনৈতিক বিষয়ক মন্ত্রকের রিপোর্ট উদ্ধৃত করে দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনে যে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, তা তুলে ধরে এএনআই জানিয়েছে, পাকিস্তানের তরফে দাবি করা হয়েছে যে জল সংক্রান্ত উন্নয়ন, বিদেশি মুদ্রার তহবিল শক্তিশালী করার মতো কারণের জন্য ঋণের যাবতীয় রেকর্ড ভেঙে গিয়েছে। তা থেকে সংশ্লিষ্ট মহলের ধারণা, বর্তমানে যা পরিস্থিতি, তাতে চলতি অর্থবর্ষেও বিদেশি ঋণের রেকর্ড তৈরি করবে পাকিস্তান।
উল্লেখ্য, দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনালকে উদ্ধৃত করে এএনআই জানিয়েছে, গত তিন বছরে মার্কিন ডলারের থেকে পাকিস্তানি মুদ্রার মূল্য ৩০.৫ শতাংশ কমেছে। ২০১৮ সালে পাকিস্তান মুদ্রায় এক মার্কিন ডলারের মূল্য ছিল ১২৩ টাকা। যা চলতি ডিসেম্বরে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭৭ টাকা।