আদিত্যনাথ ঝা
প্রজাতন্ত্র দিবসে পাকিস্তানের পতাকা উত্তোলনের অভিযোগে চাপা উত্তেজনা ছড়াল বিহারের পূর্ণিয়া টাউনে। প্রাথমিকভাবে ওই পতাকা বাজেয়াপ্ত করে নেয় পুলিশ। যদিও এসডিপিও জানিয়েছেন, পাকিস্তানের পতাকা উত্তোলন করা হয়নি। ওটা ‘ইসলামিক পতাকা’ ছিল। তারইমধ্যে কোনওরকম অযাচিত ঘটনা এড়াতে ওই এলাকায় টহল দিচ্ছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, মধুবনী পুলিশ আউটপোস্টের আওতাভুক্ত সিপাহি টোলার বাসিন্দা আসফার বাড়ির ছাদে পাকিস্তানের পতাকা তোলা হয়েছে বলে অভিযোগ আসে। ওই খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যান পুলিশ আধিকারিকরা। সেইসময় বাড়িতে শুধুমাত্র এক মহিলা ছিলেন। বাড়িতে আর কেউ ছিলেন না। কিন্তু পাকিস্তানি পতাকা উত্তোলনের বিষয়ে কিছু জানেন না বলে দাবি করেন ওই মহিলা।
স্টেশন হাউস অফিসার পবনকুমার চৌধুরী বলেন, 'আমরা ওই খবর (পাকিস্তানের পতাকা উত্তোলন করার অভিযোগ) পাওয়ার পরই দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে যাই এবং পতাকা নামিয়ে দিই। বিষয়টি মহকুমাশাসক ও অন্যান্য উচ্চতর কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।' এক পুলিশ আধিকারিক বলেছেন, ‘(ওই মহিলা দাবি করেছেন), তাঁর এক আত্মীয় মুবারক হুসেন সকালে পতাকা উত্তোলন করেছিলেন। যিনি পেশায় শিক্ষক। তবে সেটা পাকিস্তানের পতাকা ছিল না, সে বিষয়ে কোনও ধারণা নেই (বলে দাবি করেছেন মহিলা)।’
তারইমধ্যে পাকিস্তানি পতাকা উত্তোলনের খবরে কিছুটা চাপা উত্তেজনা তৈরি হয়। মহকুমা শাসক রাকেশ রামন বলেন, 'এই বিষয়ে সংবাদমাধ্যমে বিস্তারিত তথ্য জানাতে পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।' পরে বিষয়টি নিয়ে সাব-ডিভিশনাল পুলিশ অফিসার (এসডিপিও) এস কে সরোজ সাফ জানিয়ে দেন, পাকিস্তানের পতাকা উত্তোলন করা হয়নি। তিনি বলেন, 'ওটা ইসলামিক পতাকা ছিল। আমরা বিষয়টি তদন্ত করেছি। দেখা গিয়েছে যে (পাকিস্তানের পতাকা উত্তোলনের খবর) পুরোপুরি গুজব ছিল।'
তবে পাকিস্তানি উত্তোলনের গুজবের কারণে এলাকায় যাতে কোনও অযাচিত ঘটনা না ঘটে, সেজন্য টহলদারি শুরু করেছে পুলিশ। সেইসঙ্গে আমজনতাকে গুজবে কান না দেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য, বিহারের সীমাঞ্চলের চারটি জেলায় (অররিয়া, কিষানগঞ্জ, কাটিহার এবং পূর্ণিয়া) বড় সংখ্যক মুসলিম মানুষ বাস করেন।
(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup)